এ রিপোর্ট লেখা অবধি ২৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলেছে ১০৩ রান। মুমিনুল ২৬ রানে ব্যাট করছেন, সঙ্গী তামিম ইকবাল।
সফরকারীদের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন লিটন দাস এবং ইমরুল কায়েস। তামিম নামতে পারেননি কারণ তিনি দ্বিতীয় সেশনের শেষ দিকে মাঠে ছিলেন না। নিয়ম অনুযায়ী কোনো ক্রিকেটার মাঠের বাইরে থাকলে তাকে ব্যাটিংয়ে নামতে হলে মাঠের বাইরে থাকা সময় পার করে নামতে হবে। এরই মধ্যে দ্বিতীয় সেশনের বিরতি চলার ফাঁকে ফাফ ডু প্লেসিস ইনিংস ঘোষণা করে দেন। তাই এবারই প্রথম কোনো টেস্টে ওপেনিংয়ে ব্যাট হাতে নামা হয়নি তামিমের। শুরুতেই বিদায় নেন ইমরুল কায়েস। ব্যক্তিগত ৭ রান করে কেগিসো রাবাদার লাফিয়ে ওঠা বলে খোঁচা মেরে স্লিপে মার্কারামের তালুবন্দি হন ইমরুল। দলীয় ১৬ রানের মাথায় বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারায়।
ইমরুলের পর বিদায় নেন ২৯ বলে চারটি বাউন্ডারিতে ২৫ রান করা লিটন দাস। মরনে মরকেলের বলে হাশিম আমলার তালুবন্দি হন তিনি। দলীয় ৩৬ রানে দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় সেশনের খেলা শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা ১৪৬ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে তোলে ৪৯৬ রান। তেমবা বাভুমা ৩১ এবং দলপতি ফাফ ডু প্লেসিস ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন। এরপরই ইনিংস ঘোষণা করে প্রোটিয়ারা।
প্রোটিয়াদের ওপেনিংয়ে জুটি গড়তে নামেন অভিষিক্ত এইডেন মার্কারাম এবং ডিন এলগার। অভিষেক ইনিংসেই তরুণ ওপেনার মার্কারাম ৯৭ রান করেন। দলীয় ১৯৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। মুমিনুল-মেহেদির প্রচেষ্টায় রান আউট হওয়ার আগে মার্কারাম ১৫২ বল খেলে ১৩টি চারের সাহায্যে তার ইনিংসটি সাজান।
ডিন এলগার ১২৮ রানে অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নামেন। উইকেটে ৬৮ রানে অপরাজিত থেকে শুরু করেন হাশিম আমলা। প্রথম সেশনেই আমলা টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৭তম সেঞ্চুরির দেখা পান। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টেস্ট সেঞ্চুরিতে সাবেক দলপতি গ্রায়েম স্মিথের পাশে নাম লেখান। টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৫টি সেঞ্চুরি করে প্রোটিয়াদের তালিকায় এক নম্বরে কিংবদন্তি অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিস। প্রথম সেশনে স্বাগতিকরা কোনো উইকেট না হারিয়ে তুলে নেয় ১১৩ রান। দলীয় ৪১১ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় দ. আফ্রিকা। ২০০ বলে ১৭টি চার আর একটি ছক্কায় ১৩৭ রান করে মিরাজের তালুবন্দি হন আমলা। তাতে ভাঙে ২১৫ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি।
মোস্তাফিজের করা দলীয় ১৩১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বিদায় নেন ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস খেলা ডিন এলগার। ব্যক্তিগত ১৯৯ রানের (নবম সেঞ্চুরি) মাথায় মুমিনুলের তালুবন্দি হন তিনি। তার আগে ৩৮৮ বলে ১৫টি চার আর তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে এলগার তার ইনিংসটি সাজান। এর আগে তার ছিল ইনিংস সর্বোচ্চ ১৪০ রান। দলীয় ৪৪৫ রানের মাথায় এলগারের বিদায়ে তৃতীয় উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। টেস্ট ইতিহাসে এ নিয়ে ১২বার ১৯৯ রানে সাজঘরে ফিরলেন কোনো ব্যাটসম্যান। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে প্রথমবার এই কীর্তিতে নাম লেখান এলগার। বাংলাদেশের বিপক্ষেও প্রথমবার কোনো ব্যাটসম্যান ১৯৯ রানে বিদায় নেন।
ম্যাচের প্রথম দিনের প্রথম সেশনে কোনো উইকেটের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনের শেষ ওভারে একটি উইকেট পায় সফরকারীরা। তৃতীয় বা শেষ সেশনে নেই কোনো উইকেট। একমাত্র উইকেটটি ছিল রান আউট। বাংলাদেশের বোলারদের হতাশায় ভুগিয়ে প্রথম দিন শেষে স্বাগতিক দ. আফ্রিকা ১ উইকেটে তোলে ২৯৮ রান। প্রথম সেশনে ৯৯ রান তুলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় সেশনেও উঠেছে ঠিক ৯৯ রান। শেষ সেশনে আরও ১০০ রান।
বাংলাদেশের পেসার মোস্তাফিজ ২৭ ওভারে একটি, শফিউল ২৫ ওভারে একটি উইকেট নেন। তাসকিন ২৬ ওভার, স্পিনার মিরাজ ৫৬ ওভার, মাহমুদুল্লাহ ৫ ওভার, মুমিনুল ২ ওভার আর সাব্বির ৫ ওভার বল করেছেন। হতাশার দু’দিনে আর কোনো বোলারই একটি উইকেটও তুলে নিতে পারেননি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
এমআরপি