চোটের কারণে ঘরের মাঠে ২০১১ বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামসংলগ্ন একাডেমি মাঠে কান্নায় ভেঙে পড়া চেহারাটা আজো ভুলতে পারেননি বহু সাংবাদিক।
ক্রিকেটে অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়েছেন মাশরাফি। সাফল্যের পথ কখনো মসৃণ, কখনো বন্ধুর। বেশ কয়েকবার ইনজুরির কারণে তাকে ছিটকে যেতে হয়েছিল। কিন্তু অনমনীয় অদম্য শক্তিতে ফিরে এসেছেন প্রতিবারই। তার নেতৃত্বগুণে বর্তমানে ওয়ানডেতে দক্ষিণ এশিয়ার পরাশক্তি তো বটেই, বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশের নাম উচ্চারিত হয় শক্তিশালী দল হিসেবেই। টি-টোয়েন্টিতেও তার হাত ধরেই এসেছে বহু সাফল্য। যদিও তিনি এই ফরমেটের দলপতির আসন ছেড়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সফল অধিনায়ক ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ খ্যাত মাশরাফি। ওয়ানডেতে তার নেতৃত্বে জয়ের হার সবচেয়ে বেশি। সাদা পোশাকে এক ম্যাচে (২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে) দায়িত্ব কাঁধে নিয়েই দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন।
মাশরাফি সাদা পোশাকের ম্যাচ খেলেছেন ৩৬টি, ওয়ানডে খেলেছেন ১৭৯টি আর টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ৫৪টি। ক্যারিয়ারে মাশরাফির নামের পাশে আছে ৫৬টি প্রথমশ্রেণির ম্যাচ, ২৩৪টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ আর ১২২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি-আপনার হাত ধরে দেশের ক্রিকেট আরো এগিয়ে যাবে, এমনটাই শুভকামনা রইলো।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৭
এমআরপি