তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে ২৩৬ রানে এগিয়ে সিলেট। আর রাজশাহীর বিপক্ষে ৩৪ রানে পিছিয়ে চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রামে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে আগে ব্যাট করা সিলেট ৩১৯ রান তোলে। জবাবে, ঢাকা মেট্রো সব উইকেট হারিয়ে তুলেছে ২৫৯ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে সিলেট তুলেছে ১৭৬ রান। হাতে দুই উইকেট থাকা সিলেট ২৩৬ রানের লিড নিয়েছে।
সিলেটের ওপেনার ও দলপতি ইমতিয়াজ হোসেন ২১৭ বলে ১৭টি বাউন্ডারিতে করেন ১৩২ রান। রাজিন সালেহ ৪২ আর এজাজ আহমেদ ৪৬ রান করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে সিলেটের সর্বোচ্চ রান আসে শানাজ আহমেদের ব্যাট থেকে (৬৬)। এছাড়া রাজিন সালেহ ২০, অলোক কাপালি ৩২ রান করেন।
এর আগে ঢাকা মেট্রোর প্রথম ইনিংসে দলপতি মার্শাল আইয়ুব ৯৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। মোহাম্মদ আশরাফুল ব্যাটিং ফর্ম ধরে রেখে করেন ৪০ রান। ওপেনার শামসুর রহমানের ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান। প্রথম ইনিংসে সিলেটের স্পিনার এনামুল হক জুনিয়র নেন ৫টি উইকেট।
এদিকে, বগুড়ায় চট্টগ্রাম প্রথম ইনিংসে ২৬০ রান তোলে। জবাবে, রাজশাহী সব উইকেট হারিয়ে তোলে ৪০৩ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রাম ৩ উইকেটে তুলেছে ১০৯ রান। এরপরও ৩৪ রানে পিছিয়ে বন্দরনগরীর দলটি।
প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে সেঞ্চুরি মিস করেন চট্টগ্রামের সাজ্জাদুল হক। ১৭৬ বলে ১২টি চার আর একটি ছক্কায় ৯৫ রান করেন তিনি। এছাড়া, ৭০ রানের ইনিংস খেলেন সাঈদ সরকার। ৩১ রান আসে দলপতি ইরফান শুক্কুরের ব্যাট থেকে। রাজশাহীর ফরহাদ রেজা চারটি, দেলোয়ার হোসেন তিনটি, শরিফুল ইসলাম তিনটি করে উইকেট তুলে নেন।
প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে আগের ম্যাচেই ১৪৩ রানের ইনিংস খেলা রাজশাহীর ওপেনার মিজানুর রহমান ১৬৩ বলে ১৩টি বাউন্ডারি আর দুটি ওভার বাউন্ডারিতে করেন ১০২ রান। জুনায়েদ সিদ্দিকী ১২ রান করে ফিরলেও ৬২ রান করেন দেলোয়ার হোসেন। ফরহাদ হোসেন ৪৩, তৌহিদ হৃদয় ৩১ আর হামিদুল ইসলাম ৭৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।
চট্টগ্রামের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার সাদিকুর রহমান ৪৮ রান করেন। তাসামুল হক ৩২ রানে আর সাজ্জাদুল হক ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, ১৫ অক্টোবর ২০১৭
এমআরপি