এ পর্যায়ে আসার পেছনে ইনজামাম অনেক বড় প্রভাব রেখেছেন বলে প্রকাশ করেছেন ইমাম। শৈশবে মাঠের খেলায় চাচার কাছ থেকে নির্দেশনা পেতেন।
আবুধাবিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকেই দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের আবির্ভাবের জানান দিয়েছেন ইমাম। দুই ম্যাচ হাতে রেখে পাঁচ ম্যাচের ওডিআই সিরিজ জিতে নিয়েছে সরফরাজ আহমেদের দল।
পাকিস্তানের দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে বিশ্বের ১৩তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওডিআই অভিষেকে সেঞ্চুরির কীর্তি স্পর্শ করেন ইমাম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই ১৯৯৫ সালে প্রথম পাকিস্তানি হিসেবে এ তালিকায় নাম লেখান সেলিম এলাহী।
জুনিয়র লেভেলে পাকিস্তানের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন ইমাম। ২০১৪ জুনিয়র ওয়ার্ল্ডকাপে নজর কেড়েছিলেন। ঘরোয়া ক্রিকেটেও তার রানের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে। এ বছর বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-২৩ ইমার্জিং কাপে দু’টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন।
অভিষেক ওয়ানডেতে এমন পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বাসই ঝরে তরুণ ইমামের কণ্ঠে, ‘অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরি করতে পেরে আমি গর্বিত। যখন আমাকে অভিষেক সেঞ্চুরির সম্মান অর্জনের কথা বলা হয়, দেশের হয়ে এই উচ্চতায় আসতে পেরে আরও বেশি গর্ব অনুভব করি। ’
ইমামের ব্যাটিং স্টাইল যেন তরুণ বয়সের ইনজামামের অনুরূপ। ধীরে ধীরে উইকেটে থিতু হয়ে যেতে যার কোনো তুলনা নেই। পাথর্ক্য চোখে চশমা পরে খেলেন ইমাম। ক্রিকেটে যা সচরাচর দেখা যায় না। এবং তিনি বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। কিন্তু ঠান্ডা মাথায় খেলার ধরনে ইনজামামের সঙ্গে মিল তাৎপর্যপূর্ণ, ‘ইনজি (ইনজামাম) আঙ্কেল অনেক বড় প্রভাবক। যখনই আমার ব্যাটিংয়ে সাহায্য দরকার হয় তিনি আমাকে সময় দেন এবং সবসময় পজিটিভ থাকা, সাহসী ক্রিকেট খেলা ও ভাগ্যে বিশ্বাস রাখতে বলেছেন। ’
সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ারে ইনজামামের মতো হতে পারাটা চ্যালেঞ্জিং। সময়ই তা বলে দেবে। বর্তমানে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করছেন টেস্টে পাকিস্তানের সর্বকালের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে স্কোয়াডটি তিনিই পছন্দ করেছেন। চাচার সম্মানে আস্থার প্রতিদানটা রেকর্ড গড়েই দিয়েছেন ইমাম উল হক।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, ২০ অক্টোবর, ২০১৭
এমআরএম