ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

৭ ম্যাচে ৮৭ বিশ্বসেরা সাকিব!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
৭ ম্যাচে ৮৭ বিশ্বসেরা সাকিব! সাকিব আল হাসান। ফাইল ফটো

ঢাকা:  ব্যাট হাতে ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ঢাকা ডায়নামাইটসের অধিনায়ক চলতি আসরে এখন পর্যন্ত অংশ নেওয়া ৭ ম্যাচে ১৪.৫০ গড়ে রান তুলেছেন সাকুল্যে ৮৭। স্ট্রাইক রেট মাত্র ১০৪.৮১। রান সংগ্রাহকের তালিকায় তার নাম শোভা পাচ্ছে ৩৯ নম্বরে।

অথচ সাকিবের চেয়েও ২ ইনিংস কম খেলে রংপুর রাইডার্স অধিনায়ক বোলার মাশরাফিরই মোট রান ৯০। সাকিবের চেয়ে গড়ও (১৮) বেশী।

১৬৯.৮১ স্ট্রাইক রেট তো সাকিবের ধরাছোঁয়ার বাইরে।  

জাতীয় দলে তার সতীর্থ আর সব ব্যাটসম্যানই ঢের বেশী রান করেছেন সাকিবের চেয়ে। এদের মধ্যে তো ৭ ইনিংসে ২৪৮ রান নিয়ে রংপুর রাইডার্সের রবি বোপারা ছাড়া আর সব ব্যাটসম্যানের মাথার ওপরই বসে গেছেন খুলনা টাইটানস অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে কেবল শাহরিয়ার নাফিস (৯২.৬৬) ও সৌম্য সরকার (১০২.২২) ছাড়া আর সব বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেটই সাকিবের চেয়ে অনেক বেশী। যদিও নাফিস আর সৌম্যও মোট রানে সাকিবের চেয়ে ঠিকই এগিয়ে।

এমনকি এখনো জাতীয় দলে খেলার সুযোগ না পাওয়া রংপুর রাইডার্সের আরিফুল হক ৬ ইনিংসে ১৫২.৬৮ স্ট্রাইক রেটে সাকিবের ২৩ ধাপ উপরে ১৬তম স্থানে অবস্থান করছেন। মাত্র ৪ ইনিংস খেলে রাজশাহী কিংসের জাকির হাসান ১৬২.১২ স্ট্রাইক রেটে অবস্থান করছেন ২৯তম স্থানে।  

২০১২ সালে অনুষ্ঠিত বিপিএল  এর প্রথম আসরে ১১ ম্যাচে ১৪০ স্ট্রাইক রেটে ৪০ গড়ে ২৮০ রান করেছিলেন সাকিব। সেবার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের সেরা দশে তিনিই ছিলেন একমাত্র দেশি ব্যাটসম্যান। ২০১৩ সালে দ্বিতীয় আসরে ১২ ম্যাচে ১৬৪.৫০ স্ট্রাইক রেটে ৩২.৯০ গড়ে ৩২৯ তুলে ব্যাটসম্যান তালিকায় ৯ নম্বরে জায়গা করে নেন তিনি। ২০১৫ সালে তৃতীয় আসরে ১১ ইনিংসে ১০৩.৮১ স্ট্রাইক রেটে ১৭ গড়ে ১৩৬ রান করে তার অবস্থান ছিলো ১৯ নম্বরে।   ২০১৬ সালে চতুর্থ আসরে ১৩ ইনিংসে ১২৬.২৫ স্ট্রাইক রেটে ২০.৫৪ গড়ে তিনি রান তোলেন ২৫৬। সেবার অবস্থান ছিলো ২১ নম্বরে।

সাকিব আল হাসান।  ফাইল ফটো প্রথম আসরে অপরাজিত ৮৬, দ্বিতীয় আসরে ৫৯, তৃতীয় আসরে ৩৩ ও চতুর্থ আসরে অপরাজিত ৪১ তার সর্বোচ্চ রান হলেও এবার সর্বোচ্চ ২৩ রান করতে সক্ষম হয়েছেন সাকিব। তৃতীয় আসরে সর্বোচ্চ ২৯টি বাউন্ডারি ও ৭টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকানো কীর্তি গড়লেও এবার এখন পর্যন্ত কেবল ৭টি বাউন্ডারি ও মাত্র ২টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকাতে পেরেছেন তিনি।

দেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ (দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান) ছাড়াও ৮ ইনিংসে ২১২ রান নিয়ে রংপুর রাইডার্সের মোহাম্মদ মিথুন পঞ্চম, ৭ ইনিংসে ২১০ রান নিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের ইমরুল কায়েস অষ্টম এবং ৮ ইনিংসে ১৮৪ রান নিয়ে রাজশাহী কিংসের মমিনুল হক শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছেন।

৬ ইনিংসে ১৪২ রান নিয়ে সিলেট সিক্সার্সের অধিনায়ক নাসির হোসেন ১৭তম, ৭ ইনিংসে ১৩৮ রান নিয়ে চট্টগ্রাম ভাইকিংসের ‍ওপেনার সৌম্য সরকার ১৯তম, ৮ ইনিংসে ১৩৬ রান নিয়ে সিলেট সিক্সার্সের আইকন ক্রিকেটার সাব্বির রহমান ২১তম, রাজশাহী কিংস অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ৭ ইনিংসে ১২৮ রান নিয়ে ২৩তম, ৬ ইনিংসে ১১০ রান নিয়ে চট্টগ্রাম ভাইকিংসের এনমুল হক ২৫তম, ৪ ইনিংসে ১০৬ রান নিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক তামিম ইকবাল ৩১তম, ৭ ইনিংসে ১০১ রান নিয়ে রংপুর রাইডার্সের শাহরিয়ার নাফিস ৩২তম, ৬ ইনিংসে ৯৯ রান নিয়ে কুমিল্লার লিটন দাস ৩৪তম, ৫ ইনিংসে ৯২ রান নিয়ে ঢাকা ডায়নামাইটসের জহুরুল ইসলাম ৩৭ নম্বরে অবস্থান করছেন।

বিপিএলে সেরা চারে কোন কোন দল!

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।