কেননা গিয়ে দেখেলেন পাশাপাশি তিনটি উইকেটে কাজ চলছে। কোনটিতে খেলা হবে তা বুঝতে না পেরে বেশ হাতাশা নিয়েই আসলেন সংবাদ সম্মেলনে।
আসার পর তার কণ্ঠে সেই হতাশাই ঝরলো, ‘প্রেসের সামনে আসার আগে আমি, কোচ ও ম্যানেজার মাঝমাঠে গিয়ে পিচ দেখেছি। দুই, তিনটি উইকেট প্রস্তুত করা হচ্ছে। জানি না কোনটিতে খেলা হবে। তারা কোন উইকেট দেবে সেজন্যই অপেক্ষা করছি। আমি বুঝতে পারছি না কেন তারা এতটা জটিল!’
তবে যে উইকেটই দেয়া হোক না কেন তারা খেলতে প্রস্তুত বলে জানালেন। ‘যাই হোক যে উইকেটই দিক না কেন আমরা প্রস্তুত। ’
চান্দিমাল কতটা সত্যি বলেছেন সেটা নিয়ে সংশয় কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। এমনও হতে পারে ম্যাচের কৌশলগত দিক বিবেচনা করেই তারা যখন মাঠে এসেছেন তখন তিনটি উইকেট খোলা রেখে গ্রাউন্ডস কর্মীরা কাজ করছিলেন। এমনও হতে পারে ২৭ জানুয়ারির ফাইনালকে সামনে রেখে সেই উইকেটের প্রস্তুতির কাজ চলছে।
তবে একথাও ঠিক অধিনায়ক হিসেবে চান্দিমালের জানার অধিকার আছে কোন উইকেটে খেলা হবে। তিনি হয়তো দায়িত্বরত কারো কাছে জানতে চাননি।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজেদের চতুর্থ ও টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ ম্যাচে টেবিলের দুই নাম্বারে থাকা শ্রীলঙ্কাকে মোকাবেলা করবে ৩ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থাকা বাংলাদেশ।
ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ শ্রীলঙ্কা ব্যাটিং উইকেটে খেললেও তৃতীয় ম্যাচটি খেলেছিল বোলিং ট্র্যাকে। টুর্নামেন্টের ফাইনালে যেতে বৃহস্পতিবারের (২৫ জানুয়ারি) ম্যাচটি তাদের কাছে মহাগুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বিধায় কোন উইকেটে ম্যাচটি খেলা হবে সেটা তাদের কাছে বড় হওয়াটাই স্বাভাবিক।
সেই ভাবনা থেকেই হয়তো তিনি উইকেট দেখতে গিয়েছিলেন। কিন্তু উইকেট প্রশ্নে যেভাবে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানালেন তাতে এটা নিশ্চিত বিষয়টি তার কাছে রহস্যই থেকে গেল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, ২৪ জানুয়ারি ২০১৮
এইচএল/এমএমএস