কিন্তু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হার দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু করে বাংলাদেশের কাছে দ্বিতীয় হারে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার উপক্রম হওয়া দলটি ষষ্ঠ ম্যাচে যেভাবে উড়ন্ত বাংলাদেশকে মাটিতে নামিয়েছে এটা হয়তো অনেকেই ভাবতে পারেনি।
ক্রিকেট ভক্ত থেকে শুরু করে বোদ্ধারাও স্বাগতিকদের এমন নির্মম হারে বিস্মিত।
টাইগার দলপতি বলেন, ‘আমরা জানি শ্রীলঙ্কা আমাদের হারাতে পারে, কিন্তু যেভাবে আমরা হেরেছি কেউ তা আশা করেনি। আমরাও না। আমি নিশ্চিত যে ড্রেসিংরুমের কেউ বিশ্বাস করে না যে শ্রীলঙ্কা আমাদের হারাত পারে না। কিন্তু এইভাবে আমরা হারবো বিশেষ কেরে শেষ তিনটি ম্যাচ জয়ের পরে। আমাদের ইতিবাচক খেলতে হবে। এটা হয়তো আমাদের জন্য একটি ওয়েকআপ কল ছিল। ফাইনালের আগে হয়তো বা আমাদের স্নায়ু আরেকটু শক্ত হবে। ’
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি একথা বলেন।
এদিন দলীয় ১৬ রানে টাইগারদের টপ অর্ডারের তিন উইকেট পতনের পর মিডল অর্ডারের কোনো ব্যাটসম্যানকেই উইকেটে থিতু হতে দেখা যায়নি। এমন না যে চেষ্টা করলে তারা পারতেন না। দুঃখজনক হলেও একথা সত্য যে তারা নুন্যতম চেষ্টাও করেননি। বরং অতিমাত্রা শটস খেলার প্রবণতায় ফিরে গেছেন ড্রেসিংরুমে। তার চাইতেও আপত্তিকর ছিল, ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের ফিরে যাওয়া। প্রথম দুই ম্যাচে ১৯ ও ৩৫ করা বিজয় তৃতীয় ম্যাচে ১ ও এদিন ফিরেছেন ০ রানে। কিন্তু তার পরেও তাদের আগলে রাখলেন অধিনায়ক।
‘আমি অভিযোগ করতে পারতাম যদি বিজয়, রিয়াদ, নাসির ও সাব্বির চেষ্টা না করতো। সেটা তারা করেছে। অনেক সময় হয় যে একটা দুইটা রান না করা ওই জায়গা থেকে বের হয়ে আসাটা কঠিন। আজকে হয়তো তাদের জন্য ভাল সুযোগ ছিল। হয়তো উইকেটে অনেক সময় কাটাতে পারতো। আমার কাছে মনে হয় মিডল অর্ডারদের জন্য আজকে একটা ভালো সুযোগ ছিল। যাদের নাম বলেছেন তাদের ভেতরে এক-দুই জন অনেক দিন ধরেই খেলছে। এমন অবস্থা পার করেছে এবং কঠিন সময়ে বের হয়ে এসেছে। আমি আশা করছি এখান থেকে বের হয়ে আসতে পারবে। ’-যোগ করেন ম্যাশ।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, ২৫ জানুয়ারি, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস