প্রথম ইনিংসে যখন শ্রীলংকা ডিক্লেয়ার করল তখন স্কোর বোর্ড দেখাচ্ছে ৭১৩/৯। বরাবর ২০০ রান বেশি করে থামে তারা।
চতুর্থদিন শেষে তাই অতিরিক্ত রান দেওয়ার হতাশাটা লুকালেন না তাইজুল ইসলাম।
বলেন, ‘এটি সত্যি যে এটি ব্যাটিং উইকেট ছিল। তবে আমার কাছে মনে হয় যে আমরা ওই লেভেলের বোলিংটা করতে পারিনি। আমরা যদি তাদের সাড়ে পাঁচশ, ছয়শ’র মধ্যে রাখতে পারতাম তাহলে ভালো হতো। আমার কাছে মনে হয় যে ১০০ রান বেশি হয়ে গেছে। ভালো উইকেট ছিল। তবে আমার মনে হয় যে ১০০ রান বেশি দিয়ে ফেলছি। ’
ক্রিকেট চরম অনিশ্চয়তার খেলা তা ঠিক। সেটি মাথায় রেখেও বলা যায়, এই টেস্টে একটি দলই জিততে পারে। সেটির নাম আর বাংলাদেশ নয়। সেটি মানেন তাইজুলও।
তাই বলেন, উইকেট ডে বাই ডে একটু পরিবর্তন হচ্ছে তা ঠিক। উইকেটের অবস্থা আরও একটু খারাপ হতে থাকবে। তাই আমাদের ম্যাচটা বাঁচাতে কঠিন লড়াই করতে হবে।
শ্রীলঙ্কানরা ভালো বোলিং করছে তা মানেন না তাইজুল।
তিনি বলেন, ‘ওরা (শ্রীলঙ্কা) যে খুব ভালো করেছে তা আমি বলবো না। তারা যদি ভালো বল করতো এটুকু সময়ের মধ্যে ৮০ (৮১) রান হতো না। উইকেট পড়ে যাওয়ায় হয়তো মনে হচ্ছে তারা ভালো বোলিং করেছে। কিন্তু আমি তা বলবো না। ’
দিনের শেষ ওভারেই মুশফিকের উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। তার এ উইকেট হতাশা আরও বাড়িয়েছে।
টানা তিনদিন ফিল্ডিং-বোলিং করার পরেও দলের ক্রিকেটাররা এখনও ক্লান্তিহীন আছেন বলে জানান তাইজুল।
‘যখন টানা তিনদিন ফিল্ডিং করবে, হয়তোবা সবার মধ্যে ঝড়তা আসে। আসলে তিনদিন ফিল্ডিং করা টাফ। তবে আমাদের ছেলেরা এতো ওভার ফিল্ডিং করার পরেও মোটামুটি ক্লান্তিহীন আছে। এখন ব্যাটসম্যানরা যদি ভালো কিছু করতে পারে তাহলে ম্যাচটা আমরা বাঁচিয়ে দিতে পারবো। ’
বাংলাদেশ কি পারবে ম্যাচটা বাঁচাতে, না ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারটা হ্যাট্রিকেই রূপান্তর নেবে-সব প্রশ্নের উত্তর পেতে রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা!
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৮
টিএইচ/টিসি/এসএইচ