শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাতে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
সাকিব জানান, ‘আম্পায়ার বলতে পারবে কেন তুলে নিলো।
ঘটনাটি এমন, স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের জন্য শেষ ওভারে টাইগারদের প্রয়োজন ছিলো ১২ রান। প্রথম ও দ্বিতীয় বল ছিলো বাউন্সার। ফলে মাহমুদউল্লাহকে স্ট্রাইক দিতে গিয়ে রানআউট হন মোস্তাফিজুর রহমান।
আইসিসির বেঁধে দেওয়া নিয়মানুযায়ী টি-টোয়েন্টিতে একটির বেশি বাউন্সার দিলে ‘নো’ বল বলে গণ্য হবে। মোস্তাফিজ ফেরার সময় মাহমুদউল্লাহ লেগ আম্পায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আম্পায়ার ‘নো’ বলের সংকেত দেন। ঠিক তখন প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে লঙ্কানরা। আম্পায়ারকে ঘিরে ধরেন তারা। তখন লেগ আম্পায়ার গিয়ে মূল আম্পায়ারের সঙ্গে আলোচনা করে ‘নো’ তুলে নেন।
প্রতিবাদ দিক বদলে যায় টাইগার শিবিরে। আওয়াজ তোলেন মাহমুদউল্লাহ। আর মাঠের বাইরে ক্ষোভ দেখান সাকিব। এর মাঝেই সাকিব ইঙ্গিত দেন দলের কম্পিউটার বিশ্লেষককে। তিনি রিপ্লে দেখে জানান বল কাঁধের ওপর ছিলো।
সঙ্গে সঙ্গে সাকিবের সঙ্গে দলের সবাই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। আম্পায়াররা ‘নো’ বল দিতে রাজি নন তাই সাকিব ইশারায় দু্ই ব্যাটসম্যানকে মাঠ ছেড়ে আসতে বলেন। মাহমুদউল্লাহ ও রুবেল মাঠের বাইরে প্রায় চলেই গিয়েছিলেন। বাংলাদেশ দলের বেঞ্চে থাকা নুরুল হাসানের সঙ্গে কুসল মেন্ডিসসহ লঙ্কানদের বেশ কজনের সঙ্গে লেগে যায় অবস্থা।
ঠিক তখন ব্যাটসম্যানদের খেলা চালিয়ে যেতে বলেন ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ। সেখান থেকে দলকে অবিস্মরণীয় জয় এনে দিলেন মাহমুদউল্লাহ।
অনুমিতভাবে তাই ম্যাচ শেষে দুই দলের সংবাদ সম্মেলনে সবচেয়ে আলোচিত প্রসঙ্গ হওয়ার কথা ‘নো’ বল ঘিরে ওই উত্তেজনা। হলো ও তাই কিন্তু দুই দলের প্রতিনিধিরা বললেন সামান্যই।
কুসল পেরেরার হয়ে মিডিয়া ম্যানেজার শুরুতেই বলে নিলেন, ওই ঘটনা নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হবে না। তাদের দৃষ্টিতে বলটি ছিলো বৈধ। ’
সাকিব বলেন, ‘যেটা হয়েছে লেগ আম্পায়ার ওটা ‘নো’ বল ডেকেছিলো। কিন্তু পর আলোচনা করে তা বাতিল করেছেন তারা, আমার কাছে মনে হয়নি এটা সঠিক সিদ্ধান্ত। আমি জানি না, প্রথমটা বাউন্সার কল করেছিলো কি না। তবে দ্বিতীয়টার পর ‘নো’ ডেকেছিলো। এটাই হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ০২৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৮
এইচএল/ওএইচ/