চট্টগ্রামের কাজীর দেউরির খান পরিবারের সন্তান তামিমের বাবা প্রয়াত ইকবাল খান। চাচা বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০০৭ সালে অভিষেক হয়েছিল তরুণ তামিমের। আরও নির্দিষ্ট করে বললে ওয়ানডেতে। এসেই তাক লাগিয়ে দিলেন গোটা ক্রিকেট দুনিয়ায়। ওই বছর বিশ্বকাপে পোর্ট অব স্পেনে ফিয়ারলেস কিশোর তামিমের ৫৩ বলে ৫১ রানের ইনিংসে শচীন, গাঙ্গুলি, রাহুল ও শেবাগদের বিশ্বকাপ স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছিল। এ যেন বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য এক অন্যরকম আগমনী বার্তা।
স্মৃতির দরজায় আজও কড়া নাড়ে ২০১০ সালে লর্ডসে খেলা তার সেই ১০৩ রানের গৌরবাজ্জ্বল ইনিংসটি। ইংরেজদের মাঠে ক্রিকেটের তীর্থভূমিতে তাদের ওপরে স্টিম রোলার চালিয়ে ৯৪ বলে তুলে নিয়েছিলেন সেঞ্চুরি। ক্রিকেটের মক্কায় তৃতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি এটি। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে হাত উঁচিয়ে বলেছিলেন ওই ওনার্স বোর্ডে আমার নামটি লিখে রাখো।
এরপরের বছরই (২০১১) উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাক ম্যাগাজিন কর্তৃক বছরের সেরা পাঁচ ক্রিকেটারের একজন হিসেবে নির্বাচিত হন তামিম। এই খেতাব জিততে পেছনে ফেলতে হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রায়েম সোয়ান ও ভারতের বীরেন্দ্র শেবাগকে।
এইতো গেলবছরের জুনে কেনিংট ওভালে আইসিসি চ্যাম্পিয়স ট্রফিতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরির তুলে নিয়েছেন, চট্টলার এই মারকুটে ব্যাটসম্যান।
ব্যাট হাতে নানা অর্জনে দেশকে যেমন উচ্ছাসে ভাসিয়েছেন তেমনি হতাশও করেছেন। সমালোচিত হয়েছেন খেলার ধরনে। এমনকি তাকে বাদ দিয়েও টাইগার স্কোয়াড সাজানোর পরিকল্পনার কথাও শোনা গেছে। তাতে অবশ্য একবিন্দু পিছু হটেননি। এগিয়ে গেছেন সত্যিকারের বীরের মত। ২০০৭ বিশ্বকাপে জহির খানকে যেভাবে ডাউন দ্য উইকেটে এসে ছয় মেরেছেন ঠিক সেভাবেই নিন্দুকের সমালোচনার জবাব দিয়েছেন ব্যাটে।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে বড় ম্যাচ ও ঐতিহাসিক জয়ে তামিম ইকবাল আছেন। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি; এই তিন ফর্মেটে বাংলাদেশর সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বার্থডে বয় তামিম ইকবাল।
আজ তার এই বিশেষ দিনে বাংলানিউজের পক্ষ থেকে তাকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০২ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৮
এইচএল/এনটি