ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)
প্রশ্নবিদ্ধ চরিত্রের কারণেই বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) নিজের অবস্থান নড়বড়ে করে ফেলেছিলেন টাইগারদের সদ্য পদত্যাগী সহকারী কোচ রিচার্ড হ্যালসল। কেমন সেটা? বোর্ড পরিচালকদের কথা জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের কাছে রং মাখিয়ে উপস্থান করতেন। যা না, তাও বলতেন!
অনুরূপ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা তার সাথে কোনো কথা শেয়ার করলে তা টিম ম্যানেজমেন্ট এবং বোর্ডের কাছে রং মাখিয়ে উপস্থাপন করতেন।
এখানেই শেষ নয়, দিন দিন স্বেচ্ছাচার হয়ে উঠছিলেন টাইগারদের সাবেক এই সহকারী কোচ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির নির্ভরযোগ্য সুত্রের দেয়া তথ্যমতে, সিনিয়র টাইগার সদস্যদের বাদ দিয়ে তার অনুগত একটি দল গঠনের পায়তারা তিনি আড়ালে আবডালে করে যাচ্ছিলেন। বলা বাহুল্য, টাইগরদের দিন বদলের দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজার টি-টোয়ন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়ার পেছনে তার ভূমিকা বেশ জোড়ালোই ছিল বলে জানা যায়। এখানে ক্ষ্যান্ত হলেও কথা ছিল। কূট কৌশলী এই কোচ মাশরাফিকে ওয়ানডে দল থেকেও বিতারিত করতে নাকি উঠে পড়ে লেগেছিলেন।
বিষয়গুলো আঁচ করতে পেরেই রুষ্ট বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তাকে নিদাহাস ট্রফির আগে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায়। তখনই আঁচ করতে পেরেছিলেন বিসিবিতে তার অবস্থান কোথায় নেমে গেছে। তাই কালবিলম্ব না করে পারিবারিক কারণ দেখিয়ে বিসিবিকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন হ্যালসল।
বিসিবিও তার পদত্যাগপত্র গ্রহনে এক মুহূর্তও বিলম্ব করেনি।
টাইগারদের সাবেক হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের অধীনে ২০১৬ সালে সহকারী কোচ হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার আগে ২০১৪ সালে হ্যালসলকে ফিল্ডিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল বিসিবি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ২১ মার্চ, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।