ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

কোনো আক্ষেপ নেই মিরাজের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৮
কোনো আক্ষেপ নেই মিরাজের দুই টেস্টে ১৯ উইকেট নিয়ে পুরো ক্রিকেট বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন মিরাজ-ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

ঘরের মাঠে ২০১৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে আয়োজক দলের অধিনায়ক ছিলেন টাইগারদের অফস্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। তার নিপুন নেতৃত্বে বিশ্বকাপের সেই আসরে সেমি ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল লাল-সবুজের যুবারা।

ওই সময়টিতে মিরাজ দলের হয়ে ৪-৫ এ ব্যাটিংয়ে নামতেন। কিন্তু জাতীয় দলে এসে তাকে ব্যাট করতে হচ্ছে ৮-এ কখনও বা ৯-এ।

বিষয়টি নিয়ে তার আক্ষেপ থাকারেই কথা। যেহেতু আগে নামলে নিজের ইনিংসটি বড় করার সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বলই থাকে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে তার কোন আক্ষেপ নেই। বরং টিম কম্বিনেশন বিবেচনায় টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে যেখানে নামাচ্ছেন সেখানেই তিনি তুষ্ট।

রোববার (২৫ মার্চ) মিরপুরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া লাউঞ্জে সংবাদ মাধ্যমকে তিন একথা জানান।

মিরাজ বলেন, ‘আক্ষেপ নেই। আমার চেয়ে অনেক ভাল ভাল ব্যাটসম্যান বাংলাদেশ দলে আছে। দীর্ঘদিন ধরে খেলছেন। সামনে অনেক সুযোগ আছে। একটা সময় আমরা যখন সিনিয়র হবো, তখন দায়িত্ব থাকবে। এখন যে জায়গায় খেলছি ঠিক আছে। টিম কম্বিনেশনের জন্যই এমনটা হচ্ছে। যে জায়গায়ই ব্যাটিং করি আক্ষেপ নেই। দলের জন্য ১০টা রান করেও যদি অবদান রাখতে পারি, আমার কাছে ওটাই খুব ভাল লাগে। ’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মিরাজের অভিষেক হয়েছিল ২০১৬ সালের অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে। সাদা পোশাকে অভিষিক্ত ম্যাচেই স্পিন ঘূর্ণিতে নাকাল করেছিলেন সফরকারী ইংলিশদের। দুই টেস্টে ১৯ উইকেট নিয়ে পুরো ক্রিকেট বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন।

১২ টেস্টে তার উইকেট সংখ্যা ৪৮টি। কিন্তু সেই তুলনায় ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে এখনও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ৮ ওয়ানডেতে উইকেট মাত্র ৭। আর টি-টোয়েন্টিতেও তার অবস্থা আরও সঙ্গীন। ৮ ম্যাচে মোট উইকেট ৩টি। তবে আর এখানে আটকে থাকতে চাইছেন না। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে বোলিংয়ের করুন দশা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছেন এই তরুণ। তার বোধোদয় হয়েছে এখান থেকে বেরিয় আসতে তাকে টেকনিক নিয়ে আরও কাজ করতে হবে।

‘একেকটা ফরম্যাট একেকরকম। টেস্টে যেমন অনেক ধৈর্য সহকারে একটা জায়গায় অনেকক্ষণ বোলিং করতে হয়। ওয়ানডেতে অনেক বৈচিত্র্য দরকার হয় রান বেধে রাখার জন্য। টি-টোয়েন্টি পুরোই ভিন্ন, ব্যাটসম্যান সবসময় আক্রমণাত্মক থাকে চার-ছক্কা মারার জন্য। এক রান দিলে ভাল, ডট দিলে বেশি ভাল। একেক ফরম্যাটে একেকরকম সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে। মানসিকভাবে আরও অনেক শক্ত হতে হবে। নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত করছি তা গুরুত্বপূর্ণ। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ২৫ মার্চ, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।