ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

পর্যাপ্ত বিশ্রামই তামিমের আসল ওষুধ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৯ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৮
পর্যাপ্ত বিশ্রামই তামিমের আসল ওষুধ তামিম ইকবাল-ছবি:শোয়েব মিথুন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) খেলতে গিয়ে তামিম ইকবাল হাঁটুতে যে ব্যথা অনুভব করেছেন তা সারিয়ে তুলতে কোনো ইনজেকশন, অস্ত্রপচার কিংবা ওষুধের প্রয়োজন নেই।পর্যাপ্ত বিশ্রামই তার সবচাইত বড় ওষুধ। এর পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি তার ব্যথামুক্ত করণে মোক্ষম ভূমিকা পালন করবে।

শনিবার (৩১ মার্চ) সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য দিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরী।

দেবাশীষ বলেন, ‘প্রথমত ওকে বিশ্রাম দিয়ে দেব।

যেন ক্ষতটার পরিচর্যা হয়। শরীর যেন নিজেকে সাহায্য করতে পারে। আমাদের কাজ হচ্ছে শরীরকে সাহায্য করা। আমরা কোনো ইন্টারভেনশনে যাচ্ছি না। কোনো ইনজেকশন, কোন ওষুধ দিচ্ছি না। শুধু প্রাকৃতিক ভাবে বডি হিল করবে। আমরা ব্যথা কমানোর জন্য ফিজিওথেরাপি দেব। ’

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে ‘কনজারভেটিব’ প্রক্রিয়া বলে। যেহেতু ব্যথার মাত্রা কম এবং খেলার কোনো তাড়া নেই, সেহেতু এই পথেই নিরাপদ মনে করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মেডিকেল বিভাগ। ছবি:শোয়েব মিথুন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম‘ছোট ছোট কয়েকটা অঘাত আছে। কোনটাই তেমন বড় আঘাত নয়, যে এই মুহূর্তে আমাদের বড় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যেহেতু আঘাতের মাত্রাটা কম সেহেতু আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে কনজারভেটিব ওয়েতে আগানো।  আমরা যদি এরকম ৪-৬ সপ্তাহ করতে পারি ও ব্যথামুক্ত হয়ে যাবে। ’

উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত পিএসএলে পেশোয়ার জালমির হয়ে এলিমিনেটর ম্যাচে হাঁটুতে ব্যথা অনুভব করলে ম্যাচ শেষে পাকিস্তান থেকে ব্যাংককের বিমান ধরেন তামিম। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে তিনি তার হাঁটুতে স্ক্যানের নির্দেশ দেন। স্ক্যান রিপোর্ট দেখে তিনি জানান হাঁটুর যে অবস্থা তাতে তাকে নুন্যতম ৪-৬ সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে।

গেল ২৫ মার্চ তিনি ব্যাংকক থেকে দেশে ফেরার আগে ২২ মার্চ দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছিলেন, পিএসএল নয় নিদাহাস ট্রফিতেই অজি শল্যবিদ ডেভিড ইয়াং তার যে হাঁটুতে অস্ত্রপচার করেছিলেন সেখানে ব্যথা অনুভব করছিলেন তামিম।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, ৩১ মার্চ, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।