তার মানে এই নয়, চলতি মৌসুমে লিগ শিরোপার দাবি গাজী করতে পারে। কেননা এই জয়ে তাদের পয়েন্ট গিয়ে দাঁড়ালো ২০-এ, যেখানে আবাহনীর পয়েন্ট ২২।
বিকেএসপিতে (৫ এপ্রিল) অঘোষিত ফাইনালে গাজী আবাহনীকে হারালেও পয়েন্ট হবে নাসিরদের সমান। তখন আসবে রান রেটের হিসেব নিকেশ। যেখানে এগিয়ে কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের শিষ্যরা। তাই উদযাপনটা আজই করা হলো না টিম আবাহনীর। সোমবার (২ এপ্রিল) মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য খেলাঘরের প্রয়োজন ছিল ২৪২ রান। কিন্তু বিধি বাম। এদিনই আবারও বল হাতে দপ করে জ্বলে উঠলেন আবাহনীর অভিজ্ঞ পেসার মাশরাফি বিন মর্তুজা। একে একে উইকেট ছাড়া করেছেন খেলাঘরের তিন ব্যাটসম্যানকে। যা খেলাঘরের স্বপ্ন ভেঙেছে এবং তাকে নিয়ে
গেছে অনন্য এক উচ্চতায়।
৩৮ উইকেট নিয়ে এক মৌসুমে বাংলাদেশের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এখন তিনিই সর্বোচ্চ শিকারি। ৩৫ উইকেট নিয়ে পেছনে পড়ে গেলেন আগের মৌসুমে ৩৫ উইকেট নেয়া আবু হায়দার রনি। শুধু মাশরাফিই বল হাতে জ্বলে উঠলেন না, জাতীয় দলে তারই সতীর্থ তাসকিন আহমেদ (২), নাসির হোসেন (২) ও মেহেদি হাসান মিরাজ (১) জাত চেনালেন। কম যাননি মাশরাফির একাডেমির নবাগত সন্দীপ রায়ও। পেস তোপে প্যাভিলনের পথ দেখিয়ে দলের বড় জয়ে ভূমিকা রেখেছেন।
তাদের আক্রমনাত্মক বোলিং ২৭.৩ ওভারে ১১৪ রানে গুটিয়ে গেছে খেলাঘর। ব্যাট হাতে খেলাঘরের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৭ রান করেছেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান এসেছে মিডল অর্ডার আনজুম আহমেদের ব্যাট থেকে।
এর আগে দিনের শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৫৬ রানে ৮ উইকেট হারালে দলীয় ২শ’ রানের সংগ্রহই আবাহনীর জন্য স্বপ্নের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। দলের এমন ভঙ্গুর অবস্থায় হাল ধরেন দুই টেলএন্ডার তাসকিন আহমেদ ও মেহেদি হাসান মিরাজ। তাদের ৪৯ রানের জুটিতে ২শ’ রানের কোঠা পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত সবকটি উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ২৪১ রান যোগ করে আবাহনী।
৪৪ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫০ রান করেছেন মিরাজ। আর ২৫ বলে তাসকিন খেলেছেন ২৬ রানের মহাকার্যকর এক ইনিংস। টপ অর্ডারদের ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে এসেছে ৫৪ রান। বল হাতে খেলাঘরের হয়ে আব্দুল হালিম ৪টি, আনজুম আহমেদ, সাদিকুর রহমান ২টি করে এবং ইরফান আহমেদ নিয়েছেন ১টি উইকেট।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, ২ এপ্রিল, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস