এদিকে পুরো ত্রিদেশীয় সিরিজটিতেই নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি সৌম্য সরকার। ৫ ম্যাচে তার সংগ্রহ যথাক্রমে ১৪, ২৪, ১, ১০, ১।
সৌম্য-সাব্বিরদের মতো প্রতিশ্রুতিশীল জুনিয়ররা ব্যাট হাতে নিষ্প্রভ থাকায় দলের হাল ধরতে হচ্ছে সিনিয়রদেরই। শুধু ব্যাটসম্যানরাই কেন? তাসকিন, আবু হায়দার রনির মতো তরুণ বোলাররাও ঠিক যেন ধারাবাহিকভাবে জ্বলে উঠতে পারছেন না। দু’ একটি ম্যাচে যাও পারছেন পরের ম্যাচেই দপ করে নিভে যাচ্ছেন।
ঠিক এই বিষয়টিই বাংলাদেশ দলের সিনিয়র ক্রিকেটার তামিম ইকবালের কাছে বেমানান মনে হচ্ছে, ‘তরুণদের কাছ থেকে যদি আরো বেশি অবদান পাওয়া যায়, তাহলে এটা দলের জন্য খুবই ভালো হবে। কিন্তু আমি সব সময় দেখি ওরা কঠোর পরিশ্রম করে। হয়তো বা রেজাল্টটা পাচ্ছে না। তবে আমি আশা করি খুব দ্রুত ওরা ফলাফলটা পাবে এবং আরো বেশি অবদান রাখতে পারবে জাতীয় দলের জন্য। ’
‘যদি আমাদের চার-পাঁচজনের (সিনিয়রদের) সাথে ওরাও অবদান রাখতে শুরু করে, তাহলে আমরা আরো ভালো দল হয়ে দাঁড়াবো। ’-যোগ করেন তামিম।
মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়া লাউঞ্জ প্রাঙ্গনে সংবাদ মাধ্যমকে এসব কথাই তুলে ধরেন তামিম। এসময় কথা বলেন নিজের চোটাক্রান্ত হাঁটুর সব শেষ অবস্থা নিয়েও। বর্তমান যে অবস্থা এবং পুনবার্সনের যে অগ্রগতি তাতে খুব শিগগিরই মাঠে ফিরবেন বলে বিশ্বাস তার।
‘খেলা তো জুন মাসে। মে মাসের ৭-৮ তারিখের দিকে আমার পুনর্বাসন শেষ হবে। তারপর ১০-১২ তারিখের দিকে ক্যাম্প হবে। আশার কথা হলো হাতে অনেক সময় আছে। আশা করি আফগানিস্তান সিরিজের আগেই পুরোপুরি রিকভার করে নিতে পারবো। ’
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রে ডাক পেয়েছিলেন টাইগারদের এই ড্যাশিং ওপেনার। কিন্তু দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক সিরিজে ব্যস্ততা থাকায় লিগের একটি ম্যাচও খেলতে পারেননি। তাই কিছুটা হতাশ এই মারকুটে ব্যাটসম্যান।
‘সত্যিই ঢাকা লিগ খেলাটা খুব এনজয় করি। ঘরোয়া ক্রিকেটের এই আসরটাই আমি সবচেয়ে বেশি উপভোগ করি। এই আসরের ক্রিকেটের মান অনেক উঁচুতে। এই আসরে খেলোয়াড়রা শতভাগের চেয়ে বেশি এফোর্ট দেয়। এ রকম একটা আয়োজনে খেলতে না পারাটা হতাশাজনক। কিন্তু এই মুহূর্তে ইনজুরি থেকে সেরে উঠাই আমার মূল কাজ। কারণ জাতীয় দলের অনেক খেলা আছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, ৩ এপ্রিল, ২০১৮
এইচএল/এমআরএম