বলে গতি ছিল সত্যি, দু’একটি উইকেটও মিলছিলো। কিন্তু লেংথ খুঁজে না পাওয়া এবং মাত্রাতিরিক্তি ব্যয়বহুল হয়ে ওঠায় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় ও শ্রীলঙ্কা সিরিজে।
ঘরের মাঠের সিরিজে দর্শক বনে যাওয়া এই তরুণ পেসার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ দিয়ে নির্ববাচকদের মন জিতলেন। ডাক পেলেন গেল মাসে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত নিদাহাস ট্রফি দিয়ে। কিন্তু সেখানেও রাহুর দশা তার পিছু ছাড়েনি। টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচেই তার বল থেকে রান উৎসব করলো ভারত ও শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা। ফলে পরের তিন ম্যাচ মাঠ ছেড়ে আবার ডাগআউটে স্থায়ী হলেন।
বলা বাহুল্য, ওই সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে আরও তিন পেসার খেলেছেন, রুবেল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, আবু হায়দার রনি। তারাও কিন্তু কম ব্যয়বহুল ছিলেন না। অথচ দল থেকে বাদ পড়তে হয়েছে তাসকিনকে। আর এই বিষয়টিই তাকে মনে পোড়াচ্ছে।
তাসকিন বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কী রান সবাই দিচ্ছে, সবাই মার খাচ্ছে, উইকেটও পাচ্ছে। আসলে খারাপ করছি দেখেই আমার খারাপটাই বেশি চোখে পড়ছে। ’
তার কারণও তিনি ভাল করেই জানেন। অন্য সবাই খারপ করলেও কেন তাদের মাঠের বাইরে রাখা হচ্ছে না আর কেনই বা তাকে রাখা হচ্ছে? ‘আমার ক্যারিয়ারের শুরুটা যেহেতু ভাল দিয়ে শুরু হয়েছে তো লাস্ট ১০টা ম্যাচের প্রেক্ষাপট চিন্তা করলে হয়তো ৮টাই খারাপ খেলেছি। এটাই সত্য যে শেষ এক বছর ইকোনোমি রেটটা বেশি এবং পারফরম্যান্সের ধরাবাহিকতা কমে গেছে। ’
তবে এখানেই শেষ দেখছেন না এই ২৩ বছর বয়সী তরুণ। বরং শনিবার (৭ এপ্রিল) জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি প্রাঙ্গনে আগামিতে আরও ভয়ংকর হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন।
এমন না যে ইচ্ছে করে খারাপ করছি। চাচ্ছি হচ্ছে না। এটা নিয়ে যদি বেশি চিন্তা করি তাহলে অনেক কিছুই হবে না। রিল্যাক্স থাকার চেষ্টা করছি, সিনিয়রদের সাথে কথা বলছি, কোচদের সাথে কথা বলছি। আশা করছি সামনে আরও ভাল হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, ৭ এপ্রিলি, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস