ঢাকা, সোমবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

স্বপ্ন পূরণ করায় বাবা-মাকে ধন্যবাদ দিলেন সাকিব

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১০ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১৮
স্বপ্ন পূরণ করায় বাবা-মাকে ধন্যবাদ দিলেন সাকিব হায়দ্রাবাদের হয়ে আইপিএল খেলছেন সাকিব আল হাসান

কেন সাকিব আল হাসান সবার থেকে ভিন্ন? এই প্রশ্নের উত্তরটা তিনি সেই ছোটবেলাতেই নিজের মধ্যে নিয়ে নিয়েছিলেন। মধ্যবিত্ত পরিবারের গতানুগতিক চিন্তাভাবনা থেকে একটু ভিন্ন চিন্তা নিয়েই শুরু করেছিলেন জীবনটা। আর সেই ভিন্ন কিছু করার স্বপ্ন পূরণে পাশে পেয়েছেন মা-বাবাকেও।

যে বয়সে মধ্যবিত্ত পরিবারের একজন ছেলে হিসেবে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা সরকারি চাকরিজীবী হওয়ার চিন্তা করার কথা, তখন থেকেই সাকিবের চিন্তা ছিল ভিন্ন কিছু করার। ফুটবলার বাবার ছেলে হয়েও ক্রিকেটটা খেলতেন সেই ছোটবেলা থেকেই।

‘প্রথম ভালোবাসাকে’ কাছে পেতে পূর্ণ সমর্থন পেয়েছেন পরিবারের কাছ থেকে।  

কখনোই ক্রিকেটার ছাড়া অন্যকিছু হওয়ার স্বপ্ন না দেখা সাকিব সেই স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে উঠেছেন সর্বোচ্চ শিখরে। বাধা যে আসেনি তেমনও না, কিন্তু পরিবার ও বিভিন্ন সময়ের শিক্ষকদের সহায়তায় পৌঁছেছেন তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে।

বর্তমানে খেলছেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের একাদশ আসরে। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে প্রথমবারের মতো খেলা সাকিবকে নিয়ে আগ্রহ ও পরিকল্পনার শেষ নেই টিম ম্যানেজমেন্টের। সানরাইজার্স শিবিরে যোগ দেওয়ার পর থেকেই বেশ ভালোভাবেই সাকিবকে ফলাও করে যাচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। তাদেরই ওয়েবসাইটে এক সাক্ষাৎকারে সাকিব এবার জানালেন তার ভিন্নধর্মী স্বপ্নের কথা।

নিজের ক্রিকেটের শুরু, সানরাইজার্স ও আইপিএল সব কিছু নিয়েই কথা বলেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এ অলরাউন্ডার। সেখানেই বলেন, ‘ছোট একটা শহরের মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছি। জন্মের পর থেকে আমরা চিন্তা করি আমাদের প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে ভালো ক্যারিয়ারের জন্য। হতে হবে সরকারি চাকরিজীবী, ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার। স্বাভাকিভাবেই এসবই স্বপ্ন থাকে সবার। তবে আমার মনের মধ্যে অন্যকিছুই ছিল। ’

‘এই জায়গায় নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি, কারণ আমার বাবা-মা আমাকে স্বপ্নের মধ্যেই থাকতে দিয়েছেন। এজন্য তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ তাদের সমর্থন ছাড়া আমি ক্রিকেট খেলা শুরু করতে পারতাম না। কৃতিত্ব পাবেন আমার শিক্ষকরাও। তারাও জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে সাহায্য করেছেন আমাকে। ক্রিকেট আমার কাছে সবকিছু, এটাই প্রথম ভালোবাসা। যা বললাম, সবকিছু। আমার জীবনে যা কিছু ঘটেছে, সবই ক্রিকেটের জন্য। যা কিছু পেয়েছি সেটা অবশ্যই ক্রিকেটের জন্য। ’

২০১১ সাল থেকে টানা ছয় মৌসুম আইপিএল খেলেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে। এ বছর নিলামে প্রথম বারেই সাকিবকে কিনে নেয় হায়দ্রাবাদ। নতুন পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে সময় লাগেনি। খেলছেনও ভালো নতুন দলের হয়ে। পয়েন্ট টেবিলের এক নম্বরে থাকা দল সম্পর্কে সাকিব বলেন, ‘অবশ্যই আমি ভীষণ খুশি সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের অংশ হতে পেরে। এই পারফরম্যান্সের অনেকটাই কৃতিত্ব পাবে কোচিং স্টাফ। তাদের খেলোয়াড় নির্বাচন প্রক্রিয়ার ধরনের জন্যও ধন্যবাদ দিতে হয়। কেউই কোনো ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়েনি দলকে একতাবদ্ধ করতে। যে কারণে দলের সবাই এটাকে এক পরিবার মনে করি। ’ 
ভারতের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়েও কথা বলেন সাকিব। তার মতে, ভারতের প্রতিটি প্রদেশের সংস্কৃতি ভিন্ন ভিন্ন এবং সেটাই তার কাছে রোমাঞ্চকর লাগে। বলেন, ‘এখানকার (ভারত) সংস্কৃতি আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দের। প্রত্যেক প্রদেশে আলাদা-আলাদা সংস্কৃতি। তাই আমাকে আলাদা-আলাদা জায়গা ও পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হচ্ছে এবং অনেক নতুন কিছু সম্পর্কে জানতে পারছি। আপনি হায়দ্রাবাদে গেলে এক রকম পরিবেশ পাবেন, কলকাতায় আবার অন্যরকম। জয়পুরে এক রকম পরিবেশ, মুম্বাই-দিল্লিতে আবার আলাদা- সবকিছু মিলিয়ে ভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ধরনের সংস্কৃতি ও মানুষের সঙ্গে পরিচয় হচ্ছে আমার। দারুন লাগছে এসব। ’

সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে এ মৌসুমের ৮ ম্যাচে সাকিব বল হাতে নিয়েছেন উইকেট ৮ এবং ব্যাট হাতে ১২৩ রান নিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৮  
এমকেএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।