নতুন দলেও দেখা গেছে সেই পারফর্মার সাকিবকেই। সময়ের সাথে হয়েছেন আরও ধারালো।
নতুন দলে আসলে মানিয়ে নিতে তেমন কোনো সমস্যায়ই পড়তে হয়নি সাকিবকে। নিজেই জানালেন এমনটা। কেননা নতুন দলে আছেন বাঙালি ঋধিমান শাহা ও শ্রীবৎস গোস্বামী। যাদের সঙ্গে কলকাতায়ও খেলেছেন। একই দল থেকে হায়দ্রাবাদে এসেছেন ইউসুফ পাঠান ও মানিশ পান্ডে।
বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব তার স্বভাবসুলভ হাসি দিয়ে ক্রিকবাজকে বলেন, ‘আমরা তিনজন কথা বলার সময় বাংলাতেই বলছি। ঋদ্ধি ও গোস্বামী এ দু’জনের সঙ্গে আমি সব সময়ই বাংলায় কথা বলি। ওদের সঙ্গে ইংরেজি বা হিন্দিতে কথা বলার প্রশ্নই ওঠে না। বাংলাতেই আমাদের গল্প জমে বেশি। ’
‘এখন পর্যন্ত দারুণ সময় কাটছে হায়দ্রাবাদের সঙ্গে। মানিশ আর ইউসুফ ভাইয়ের (ইউসুফ পাঠান) সঙ্গে তো কলকাতাতেও খেলেছি। মুডির সঙ্গেও আগেই পরিচয় আছে, মেলবোর্ন রেনেগার্ডসে কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়েছে তার সঙ্গে। আর সাইমন তো আমাদের এইচপি দলের কোচ, বাংলাদেশ জাতীয় দলেও কাজ করছে সে। বেশ ভালোই আছি এখানে। ’
সাধারনত বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে তিনেই স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাটিং করেন এই স্পিন অলরাউন্ডার। কিন্তু হায়দ্রাবাদের হয়ে চারে বা পাঁচে ব্যাটিংয়ে দেখা যায়। এতে কোনো সমস্যা হয় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে, সাকিব এক বাক্যে জানিয়ে দেন, ‘মোটেই না। ’
বলেন, ‘সৎ ভাবে বললে আসলে এতে আমার কোনো সমস্যা হয় না। দলের প্রয়োজনে আমি সব পজিশনেই খেলতে রাজি। আমি তিন থেকে সাত বা আট পজিশনেও ব্যাট করতে অভ্যস্ত। আমি আসলে এগুলো মাথায় আনিনা। দল যেখানে চায় আমি সেখানেই খেলি। আসলে আমার প্রধান লক্ষ্য পারফর্ম করা। ভালোই যাচ্ছে এই মৌসুম। তবুও ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি আমার উন্নতির আরও জায়গা রয়েছে। ’
দু’বার মৌসুমে কলকাতার হয়ে আইপিএলের শিরোপা তুলে ধরেছেন। নতুন দল হায়দ্রাবাদ যেভাবে এগোচ্ছে তাতে সম্ভাবনা আছে একাদশ আইপিএলের শিরোপা জয়েরও। আট দলের মধ্যে সাকিবের হায়দ্রাবাদ ১০ ম্যাচে ৮ জয় নিয়ে আছে সবার ওপরে। এরই মধ্যে প্লে-অফ নিশ্চিত করে ফেলেছে।
বাংলাদেশ সময়ঃ ১৬১০, মে ০৯, ২০১৮
এমকেএম/এমএমএস