সুজনের মতে, বিষয়টি অবশ্যই দুঃখজনক। তারা হয়তো তাদের আর্থিক বিষয়টি মাথায় রেখে চিন্তা করছে যে আসলেই তারা কতটুকু লাভবান হবে।
বৃহস্পতিবার (১০ মে) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড চত্বরে তিনি একথা বলেন।
এদিকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ বাতিলের এমন সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বিসিবি বিকল্প কোনো সিদ্ধান্ত তাদের দেয়নি বলেও জানান এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্ল্যান (এফটিপি) অনুযায়ী আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দু’টি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার কথা ছিল মাশরাফি-সাকিবদের। কিন্তু বোর্ডের অর্থ সংক্রান্ত ক্ষতির কারণে এ সিরিজ আয়োজন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে সিএ। ২০০৩ সালের এফটিপি অনুযায়ী দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ফিরতি সিরিজ হতো এটি।
মূলত আগস্ট-সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় ফুটবলের মৌসুম চলবে। আর অস্ট্রেলিয়ান সম্প্রচারকরা ফুটবল মৌসুমের মধ্যে এ সিরিজ সম্প্রচারে আগ্রহী নয়। তাই বাংলাদেশ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বরাবর সিএ’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই সিরিজ আর্থিকভাবে সুবিধাজনক নয়।
সিরিজ বাতিল হলেও ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া যেতে আগ্রহী।
২০১৫ সালেও বাংলাদেশের সঙ্গে সিরিজ খেলা নিয়ে এমন টালবাহানা করেছে অজি ক্রিকেট বোর্ড। দুই ম্যাচ সিরিজের টেস্ট খেলতে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে আসার কথা থাকলেও নিরাপত্তার অজুহাতে তা স্থগিত করে দেয়। দুই বছর পর গেলবছরের আগস্ট সেপ্টেম্বরে সেই সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসে স্টিভেন স্মিথ ও তার দল।
দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সবশেষ অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিল ২০০৩ সালে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৮
এইচএল/এএ