নতুন নীতি অনুযায়ী একজন চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারকে এক মৌসুমে দু’টি লিগে খেলার অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দেওয়া হবে। নীতিতে অবশ্য এটা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি যে দেশটির ঘরোয়া লিগ পাকিস্তান সুপার লিগ বা পিএসএল এই দুই লিগের তালিকায় পড়বে কিনা।
পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটাররা আইপিএল ছাড়া বিশ্বের অন্য সব বড় লিগেই অংশ নিয়ে থাকেন। বিগ ব্যাশ, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, ন্যাট ওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট, দক্ষিণ আফ্রিকার গ্লোবাল লিগ আর বাংলাদেশের বিপিএল- সবগুলোর মধ্যে মাত্র একটিকে বেছে নিতে হলে বিপিএল বাকিগুলোর চেয়ে পিছিয়েই থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১০ মে) এক বিবৃতিতে পিসিবি জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের এক মৌসুমে দু’টি লিগ খেলার অনুমতি মিলবে।
চুক্তির বাইরে থাকাদের জন্যও এনওসি পাওয়া কঠিন করে তুলেছে পিসিবি। তাদের জন্য এনওসি পাওয়ার জন্য তিনটি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। এমনকি অবসরে চলে যাওয়া ক্রিকেটারদের জন্যও এক ধরনের প্রচ্ছন্ন বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে নীতিমালায়। তাদের বেলায় আইসিসির নিয়মের অজুহাত দিয়ে বলা হয়েছে, আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী অবসরের পর অন্তত দুই বছর এনওসি নিতে হয়।
মূলত খেলোয়াড়দের দেশের বাইরে বিভিন্ন লিগে খেলে ক্লান্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন একাডেমির প্রধান মুদাসসর নজর, প্রধান নির্বাচক ইনজামাম-উল-হক ও ক্রিকেট অপারেশনের পরিচালক হারুন রশিদ।
এমন সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিপিএল। কেননা সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে পাকিস্তানের ঘরোয়া মৌসুম শুরু হয়। এই সময়ের বাইরে অনুষ্ঠিত সিপিএল বা টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে দেখা যেতে পারে পাকিস্তানি তারকাদের। একইসময়ে বিপিএল আর বিগ ব্যাশ আয়োজিত হয়। ফলে দেশটির ক্রিকেটারদের জন্য বিপিএলে অংশ নেওয়া প্রায় অসম্ভব।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ১০ মে, ২০১৮
এমএইচএম/এএ