ক্রিকেটারদের জন্য বিসিবি’র যে মান বেঁধে দিয়েছে তার হার্টে এর চাইতে কম অক্সিজেন সঞ্চালিত হচ্ছে। তাতে অবশ্য বিচলিত হওয়ার কিছু নেই।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বেঁধে দেয়া মান অনুযায়ী একজন ক্রিকেটারের বিপের পরিমান ১০ হলে ঠিক আছে। সমস্যা হয়ে যায় ১০ এর কমে নেমে এলে। যেমন রুবেল হোসেনর বিপের মাত্রা ৮.২। আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রাথমিক স্কোয়াডে যে ৩১ জন ডাক পেয়েছেন তাদের মধ্যে রুবেলের বিপের মাত্রা সবচাইতে কম। বিপের মাত্রা তামিম ইকবাল ও আব্দুর রাজ্জাকেরও কম। তবে রুবেলের চাইতে বেশি। তামিমের ৯.১৪ ও রাজ্জাকের ৯.৪।
সব চাইতে বেশি অক্সিজেন সঞ্চালিত হয় মেহেদি হাসান মিরাজের হার্টে। ১২.৫ নিয়ে তিনি সবার শীর্ষে। তার পরেই আছেন মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকার ও সাব্বির রহমান ১২.১। ১২.০নিয়ে তাদের পেছনে মুমিনুল হক ও নাইম হাসান।
মাশরাফির বিপের পরিমান ১০.৩০ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ১১.৫। সাকিব, মোস্তাফিজ আইপিএলে থাকায় অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দিতে পারেননি তাই তাদেরটা জানা যায়নি।
বিপ’র পরিমাণ স্বাভাবিকের চাইতে কমে গেলে প্লেয়ারদের কর্মক্ষমতা লোপ পায়। উদাহরণ দিয়ে যদি বলি টেস্টে একজন বোলারের কাছে দিনে ২০ ওভার বোলিং প্রত্যাশিত। সেখানে তিনি ১০ ওভার করেই হাঁপিয়ে গেছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তান সিরিজকে সামনে রেখে রোববার (১৩ মে) ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ৩১ সদস্যের অনুশীলন ক্যাম্পের প্রথম দিন। সাকিব, মোস্তাফিজ ছাড়া দলের বাকি ২৯ সদস্য সকাল পৌনে ৯টায় বাংলাদেশ ক্রিকেট একাডেমিতে স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ মারিওভিল্লা ভারায়নের কাছে রিপোর্ট করেছেন।
সকালে বিসিবির জিমনেশিয়ামে জিম সেশন শেষে ইনডোরে দলের সবার বিপ পরীক্ষা নেয়া হয়। সেখানেই মাশরাফি, রুবেলদের হার্টের খবর মিললো।
প্রতিটি আন্তর্জাতিক সিরিজকে সামনে রেখে আয়োজিত অনুশীলন ক্যাম্পেই ক্রিকেটারদের বিপ পরীক্ষা করা হয়। এটি এমন এক পদ্ধতি যার মাধ্যমে তাদের হার্টে কী পরিমান অক্সিজেন সঞ্চালিত হচ্ছে সেটা জানা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ১৩ মে, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস