তবে তিনি একাই নন। বঞ্চিতদের এই তালিকা আরও আছেন একই ক্লাবের সঞ্জিত সাহা দ্বীপ, আবু বকর অনীক ও জসীম উদ্দিন।
অন্যরা ৫০ শতাংশ পেলেও বাকি ৫০ শতাংশ বাকিই রয়ে গেছে। তাই রোববার (১৩ মে) লিখিত অভিযোগ জানাতে বিসিবি কার্যালয়ে এসেছিলেন মুক্তার আলী, তাসামুল হক, নাবিল সামাদ, জসিমউদ্দিনসহ কলাবাগানের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। তারা বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেছেন।
বিসিবি’র প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে দেখা করে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তাসামুল হক জানালেন, ‘আমরা আগেই বোর্ডকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলাম। বোর্ড অভিযোগ পাওয়ার পর ক্লাবের কাছে চিঠি পাঠায়। ক্লাব কর্তৃপক্ষ নাকি ফিরতি চিঠি পাঠিয়েছে। দুই পক্ষ আলোচনায় বসবে। কবে নাগাদ এর সুরাহা হবে সেটি বলেননি সিইও। আমরা চেয়েছি যাতে দ্রুত সমাধান হয়। সামনে ঈদ, আর আমাদের রুটি-রুজির অংশ তো প্রিমিয়ার লিগের পারিশ্রমিক। ’
প্রিমিয়ার লিগে খেলোয়াড়দের পাওনা পরিশোধ নিয়ে গেল মৌসুম থেকেই কঠোর অবস্থানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সদ্য সমাপ্ত লিগ শুরুর আগে তিন কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করার নিয়মও বেঁধে দেয় আয়োজক ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)।
সেই নিয়ম অনুযায়ী লিগ শুরুর আগে ৫০ ভাগ, চলাকালীন সময়ে ২৫ ভাগ করে এবং লিগ শেষ হওয়ার পর অবশিষ্ট ২৫ শতাংশ টাকা পরিশোধ করার কথা।
কিন্তু নিয়মের ধারই ধারছেন না কলাবাগান কর্তৃপক্ষ। ক্লাবটির স্বেচ্ছাচারিতার শেষ এখানেই নয়। অভিযোগ আছে লিগ থেকে কলাবাগানের অবনমনে চলে যাওয়ার শোকে ক্লাব কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত পারিশ্রমিকের একটা অংশ কেটে নতুন করে পারিশ্রমিক নির্ধারণ করেছে।
পারফরম্যান্সের কারণে পারিশ্রমিক কমে যাবে! মানতেই পারছেন না বঞ্চিত ক্রিকেটাররা। তাদের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে প্রতিবাদী হয়ে তাসামুল বললেন. ‘দলের পারফরম্যান্স খারাপ হলে টাকা কর্তন করবে এমন নিয়ম কোথাও নেই। আমরা বোর্ডকে সেটা বলেছি। এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়ার মতো নয়। ’
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্লেয়ার্স ড্রাফটে ‘এ’ গ্রেডের আশরাফুলের পাওনা ১৮ লাখ টাকা। লিগের শুরুতে প্রাপ্ত টাকার ৫০ শতাংশ বিসিবিতে জমা রেখেছিলেন। পরে টাকা তুলতে গেলে জানতে পারেন তার পারিশ্রমিক কমে এসেছে। পরিবর্তিত পারিশ্রমিক পাবেন ১৫ লাখ টাকা।
তার হতাশার শেষ এখানেই নয়। ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাকে আজ দিচ্ছি, কাল দিচ্ছি করে ঘোরাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, ১৩ মে, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস