গর্ডন গ্রিনিজের সম্মানে সোমবার (১৪ মে) হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিসিবি আয়োজনে দেওয়া সম্মাননায় এসে ডায়াসে উঠেই গর্ডন বললেন, 'আমি আপ্লুত, আনন্দিত। ভাবতেও পারিনি আমার জন্য বিসিবি এতো বড় আয়োজন করে রেখেছে।
স্মৃতিচারণের সময় বাংলাদেশ ক্রিকেটের হেড কোচ থাকাকালীন নিজের মধুরতম সময়কে ভুলে গেলেন না গর্ডন গ্রিনিজ। যেখানে অন্যতম ছিল ১৯৯৭ সালে মালয়েশিয়ার সেই স্বর্ণালী স্মৃতি। 'এটা আমার কাছে স্বপ্নের মতো ছিল। বাংলাদেশের কোচ হয়ে সেই অসাধারণ মুহুর্ত। '
কোচের পদ থেকে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর অসংখ্যবার শিষ্য ও সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগের ইচ্ছে করেছেন কিন্তু কারো নাম্বারই তার কাছে ছিল না। হারিয়ে ফেলেছেন সেজন্য দুঃখ প্রকাশ করলেন।
১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জিতিয়ে বাংলাদেশকে স্বপ্নের বিশ্বকাপে তুলে দিয়ে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে তার হাত ধরেই পরাশক্তি পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের দাপুটে আগমনের জানান দিয়েছিল লাল-সবুজের দল। কিন্তু বিসিবির সঙ্গে সম্পর্কের টানপোড়নে সেই বিশ্বকাপেই বরখান্ত হন গর্ডন। তাই বলে তিনি নিরন্তর কষ্টে ভোগেননি। তবে প্রথম কয়েকটা দিন অল্পবিস্তর হতাশ ছিলেন সে সত্য বলতে দ্বিধা করলেন না। ' শেষটা মধুর হয়নি, এটা নিয়ে কষ্ট পাওয়ার কিছু নেই। তবে হ্যা, কিছুটা হতাশ ছিলাম। ক্রিকেটে এটা হতেই পারে। '
স্বাগত বক্তব্য শেষে বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয় লাল সবুজের জার্সি উপহার দেন গর্ডনকে। আর বিসিবি'র পক্ষ থেকে তার হাতে ক্রেস্ট ও পাঁচ লাখ টাকার চেক তুলে দেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। টাকাটি তাকে আগের আগেই দেওয়ার কথা ছিল। যখন সাবেক বিসিবি সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল যখন আইসিসি ট্রফি জয়ী বাংলাদেশ দলকে বিসিবির পক্ষ থেকে সম্মাননা দিয়েছিলেন। কিন্তু তখন তিনি ছিলেন না। বিসিবির দেওয়া এই অর্থ তার দাতব্য প্রতিষ্ঠানে ব্যয় করবেন বলে জানালেন।
সবশেষে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল ও সাফল্য কামনা করেন গর্ডন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৭ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৮
এইচএল/এএটি