এর সঙ্গে কেভিন আবার দারুণ একটি কীর্তি স্পর্শ করলেন। দেশের অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরির করার মাত্র চতুর্থ ব্যাটসম্যান তিনি।
কেভিন অবশ্য নিজ দেশকে এর আগেও সেঞ্চুরি উপহার দিয়ে রাঙিয়েছিলেন। ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আইরিশদের ঐতিহাসিক জয়ে মাত্র ৫০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। সেটি আবার এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হয়ে আছে।
এদিকে কেভিনের সেঞ্চুরি পাকিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের পুরো চেহারাই পাল্টে দিয়েছে। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে ৩১০ রানে পর স্বাগতিক দলটি ১৩০ রানে প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়ে ফলোঅনে পড়েছিল। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়িয়ে চতুর্থ দিন শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩১৯ রান করেছে।
যেখানে পাকিস্তানের থেকে এখন আইরিশরা উল্টো ১৩৯ রানে এগিয়ে রয়েছে। শেষ দিন দলটির দ্রুত ইনিংস শেষ হলেও চাপে থাকবে পাকিস্তান।
কেভিনের হাত ধরেই প্রথম হাফসেঞ্চুরি পায় আয়ারল্যান্ড। তিনি ১০০ বলে স্পর্শ করেন ৫০ রানের কোটা। আর সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন ১৮৯ বলে। পরে অবশ্য হাফসেঞ্চুরি করেন স্টুয়ার্ট থমসনও। দুজন মিলে দেশকে উপহার দেন টেস্টে প্রথম শতরানের জুটি। সপ্তম উইকেটে ১১৪ রান!
কেভিন চতুর্থ দিন লড়াই করে ১১৮ রানে অপরাজিতই থাকেন। তার সেঞ্চুরিটি এলো আবার ৩৪ বছর ৭১ দিন বয়সে। ব্যক্তিগত অভিষেকে তার চেয়ে বেশি বয়সে সেঞ্চুরি করেছেন কেবল অ্যাডাম ভোজেস ও ডেভ হটন।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৩ ঘণ্টা, ১৫ মে, ২০১৮
এমএমএস