ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

টেস্ট বাঁচাতে যোগ হচ্ছে ভিন্ন কিছু নিয়ম

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০২ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৮
টেস্ট বাঁচাতে যোগ হচ্ছে ভিন্ন কিছু নিয়ম ...

ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি, টি-টেনের এই ক্রিকেট বিশ্বে টেস্ট ক্রিকেটের ঐতিয্যময় সাদা রঙই যেন ফিকে হয়ে যাচ্ছে দিনে দিনে। তাই টেস্ট ক্রিকেট বাঁচানো ও এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) গেল কয়েক বছর থেকেই নতুন নতুন নিয়মাবলী নিয়ে আসছে ক্রিকেটে।

এরই অংশ হিসেবে গত মে মাসে কলকাতায় অনুষ্ঠিত আইসিসির সাধারণ সভায় বেশ কিছু বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা করা হয়। সেখান থেকেই কিছু বিষয়ে আলোচনা হবে আগামী ২৮ ও ২৯ জুন ভারতের মুম্বাইয়ে বসতে যাওয়া বৈঠকেও।

তবে মূলত জুনে আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপই এই বৈঠকের মূল এজেন্ডা।

২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পরপরই টেস্ট খেলুড়ে তালিকার ৯টি দেশ নিয়ে মাঠে গড়াবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। যার ফাইনাল হবে ইংল্যান্ডের মাটিতে ২০২১ সালের ১০-১৪ জুন।
বৈঠকে আলোচনা করার জন্য একটি কমিটি গঠিন করা হয়েছে যার প্রধান করা হয়েছে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ অনিল কুম্বলেকে। সেখানে আলোচনায় থাকবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের টস পদ্ধতি, পয়েন্ট পদ্ধতি, উইকেট ও পিচের ধরন ইত্যাদি সম্পর্কে।

মুম্বাইয়ের বৈঠকে যেসব প্রস্তাবগুলো নির্বাচিত হবে সেগুলোই আলোচনা সাপেক্ষে অনুমোদন পাবে জুনে ডাবলিনের আইসিসির নির্বাহীদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে।

যে বিষয়গুলোতে আলোচনা হবে আইসিসির মুম্বাই বৈঠকেঃ

দিবা-রাত্রির টেস্টঃ
সম্প্রতি ভারত এক কথায় দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলতে না বলে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। কিন্তু টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ কারো সামনেই না বলার পথ খোলা রাখছে না। প্রতিটি আয়োজক বোর্ড একটি করে দিবা-রাত্রির ম্যাচ আয়োজন করতে পারবে এবং যাদের আমন্ত্রণ জানাবে তারা সেই ম্যাচ খেলতে বাধ্য থাকবে। সেক্ষত্রে একের অধিক দিবা-রাত্রির ম্যাচ হলে আমন্ত্রিত দল একটি না বলতে পারবে। তবে সে ক্ষেত্রেও কমপক্ষে একটি দুই দিনের দিবা-রাত্রির প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে হবে।

টসঃ
মূলত ঘরের মাঠে স্বাগতিক দেশ বেশি সুবিধে পায় বলেই এমন পথে হাঁটতে চাইছে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই সংস্থাটি। টস না করে সফরকারী দেশ নির্ধারণ করবে তারা ফিল্ডিং করবে না ব্যাটিং। কেননা সম্প্রতি স্বাগতিক দেশগুলো দেশের মাঠ ও পিচকে পুরোপুরি নিজেদের মতো করে সাজিয়ে রাখে। ফলে সফরকারীদের অবস্থা হয় বেহাল।

অযোগ্য পিচঃ 
এটা সম্পূর্নই টস পদ্ধতির উপর নির্ভর করছে। যদি টস পদ্ধতি টেস্ট থেকে উঠে যায় সেক্ষেত্রে উইকেট ও পিচের দিকে বিশেষ নজর দেবে আইসিসি। তবে গেল কয়েক বছর থেকেই আইসিসির পক্ষ থেকে পিচের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। এর আওতায় একাধিক পিচকে এরই মধ্যে ডিমেরিট পয়েন্ট দিয়েছে আইসিসি। এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, পিচের বা আউটফিল্ডের কারণে কোনো ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়ে যায় বা আমন্ত্রণ পাওয়া দল খেলতে সমস্যায় পড়ে সে ক্ষেত্রে ম্যাচ রেফারি সেই মাঠকে অযোগ্য ঘোষণা করতে পারবে। এমনকি সফরে আসা দলকে বিজয়ীও ঘোষণা করে দিতে পারবে।

পয়েন্ট পদ্ধতিঃ
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট পদ্ধতি কেমন হতে পারে সে বিষয়ে এখনও ক্রিকেট কমিটি সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। তবে প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কখনো কখনো ড্র-ও জয়ের মতো কাজ করবে। তবে সেটা পারিপার্শিক অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করবে। এমনকি পয়েন্টের ক্ষেত্রে ক্রিকেটারদের ব্যবহার ও স্লো ওভার রেটও ভূমিকা রাখবে।

পাঁচ দিনের টেস্টঃ
চারদিনের টেস্টের কোনো পথই খোলা রাখা হয়নি। যদিও এর আগে চারদিনের টেস্টের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আইসিসি সোজাসাপ্টা জানিয়ে দিয়েছে পুরো টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ পাঁচদিনের ম্যাচেই হবে। এছাড়া প্রতিটি টেস্টের মধ্যে কমপক্ষে তিন দিনের বিরতি থাকতে হবে।

বলঃ 
স্বাগতিক দল কোনভাবেই ভিন্ন রকমের বা নিজেদের পছন্দের বল ব্যবহার করতে পারবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫, মে ১৭, ২০১৮
এমকেএম/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।