বার্ষিক এই বক্তৃতায় এর আগে সব ক্রিকেটারই ছিলেন ভারতীয়। সুনীল গাভাস্কার, অনিল কুম্বলে, ভিভিএস লক্ষণ, রাহুল দ্রাবিড় ও ফারুক ইঞ্জিনিয়ার এ যাবৎ এই ভাষণ দিয়েছেন।
এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চৌধুরী। তার প্রস্তাবিত নাম ছিল সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার নরি কন্ট্রাক্টার, চান্দু বোর্দে, এরাপল্লি প্রসন্ন ও আব্বাস আলী বেগ। এরা সবাই টাইগার পতৌদির সঙ্গে খেলেছেন। তাই এই সময়ের ভারতীয় ক্রিকেটের একটি পূর্নাঙ্গ চিত্র হয়তো পাওয়া যেত। কিন্তু সেটি এখন এক কথায় না হওয়ারই সম্ভাবনা।
ক্ষোভ নিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে অমিতাভ বলেন, ‘তার (সাবা করিম) ইমেইল ও এমনটি করতে পেরে তার সন্তুষ্টি দেখে আমি বিস্মিত হয়েছি। দ্বিধায় পড়েছি এটা কি মনসুর আলী খান পতৌদির বক্তৃতা নাকি স্যার লেন হাটন অথবা স্যার ফ্র্যাঙ্ক উলির লেকচার। ’
শুরুতে সবার প্রস্তাবের ভিত্তিতে বোর্ডের পরিচালকরা সাঙ্গাকারাকে বেছে নিয়েছিলেন। এ সিদ্ধান্তেও আপত্তি জানিয়েছিলেন অমিতাভ চৌধুরী। পরে অবশ্য সাঙ্গাকারা নিজেই সময় দিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
তবে অমিতাভ চৌধুরীর ক্ষোভের ব্যাখ্যায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আসলে কাউকে হেয় করতে নয়, বক্তৃতার মান উন্নয়নেই এমনটি করা হচ্ছে। সৌরভ গাঙ্গুলির নাম গতবারও ছিল। কিন্তু একজন বোর্ড প্রশাসক হওয়ায় তাকে বেছে নিতে আপত্তি বোর্ডের। তাই যারা ভারতীয় ক্রিকেটের বন্ধু, বাকিদের উদ্দেশ্যে এ নিয়ে কথা বলতে পারেন। এমন ভাবনা থেকেই পিটারসেনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। ’
কিন্তু এসব কিছুই মানতে নারাজ অমিতাভ। তার মতে, একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে কিছুতেই এই ভাষণের উপযুক্ত মনে করা যায় না। অমিতাভ বলেন ‘পিটারসেনকে শৃঙ্খলাজনিত কারণে ইসিবি বেশ কয়েকবার বহিস্কার করেছে। দলের স্পিরিট নষ্ট করা এবং দলের প্রতি তার দায়বদ্ধতার অভাব নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। আর এমন একজন লোককেই কী না পতৌদি স্মারক বক্তৃতার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫, ১৯ মে, ২০১৮
এমকেএম/এমএমএস