আইপিএলের প্লে অফে সবার আগে পৌঁছায় সাকিবদের সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। ১৩ ম্যাচ শেষে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার আগে প্লে নিশ্চিত করেছে হায়দ্রাবাদ।
তিন নম্বরে থাকা কলকাতা নাইট রাইডার্সের পয়েন্ট ১৪। বাকি চার দলের চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে দিনেশ কার্তিকের দল। প্লে অফ নিশ্চিত করতে হলে শনিবার (১৯ মে) হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে জয় পেলেই চলবে দলটির।
তবে হেরে গেলেও সুযোগ থাকবে শাহরুখ খানের মালিকানাধীন দলটির। নেট রান রেটে বাকি চার দলের চেয়ে এগিয়ে থাকা কলকাতার পয়েন্টের হিসাব আর ব্যাঙ্গালুরু ও মুম্বাই যদি নিজেদের খেলা হেরে যায় তবেই নিশ্চিত কলকাতার প্লে অফ।
যদি রাজস্থান রয়্যালস এবং সানরাইজার্স জিতে যায় তাহলে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিদায় নিশ্চিত। রাজস্থানের পয়েন্ট হবে ১৪। তবে তাতেও হিসাব শেষ হবে না তাদের জন্য।
কলকাতার সমান পয়েন্ট হয়ে যাওয়ায় নেট রান রেটের হিসাবে এগিয়ে থাকতে হবে রাজস্থানকে। আবার অন্যদিকে কলকাতাকে নিজের ম্যাচ ৩৫-৪০ রানের ব্যবধানে হারতে হবে।
অন্যদিকে রাজস্থানের চেয়ে রান রেটের হিসেবে এগিয়ে আছে মুম্বাইও। মুম্বাই যদি নিজেদের শেষ ম্যাচে জিতে যায় তাহলে কপাল পুড়বে রাজস্থানের। একইভাবে সুযোগ থাকবে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবেরও।
মুম্বাইয়ের জন্য হিসাবটা সহজ। হারলে সব শেষ। দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে জিতলে নেট রান রেটে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকা মুম্বাই টিকে যাবে।
পাঞ্জাবের জন্য হিসাবটা একটু জটিল। শুধু জিতলেই হবে না, বরং নেট রান রেটের হিসেবে কলকাতা ও রাজস্থানকে পেছনে ফেলতে হবে। নেট রান রেটের হিসাব ছাড়াও প্রতিক্ষা করতে হবে দিল্লির কাছে মুম্বাইয়ের হারের।
যদি মুম্বাই জিতে যায়, তাহলে নেট রান রেটের হিসাবে রাজস্থান ও কলকাতাকে পেছনে ফেলতে হবে পাঞ্জাবকে। যেহেতু পাঞ্জাবই সবার শেষে মাঠে নামবে তাদের জন্য একটা সুযোগ থাকছে হিসাব মেলানোর।
যদি রাজস্থান ও কলকাতা জিতে যায় তাহলেও ব্যাঙ্গালুরুর বিদায় নিশ্চিত। কলকাতার পয়েন্ট হবে ১৬। যদি ৫০ রানের ব্যবধানে জয় পায় কলকাতা, তাহলে চেন্নাইকে হটিয়ে টেবিলের দুইয়ে উঠার সুযোগ থাকছে কলকাতার সামনে। তবে চেন্নাইকেও তাদের শেষ ম্যাচে ৩০ রানে হেরে যায় যেতে হবে।
রোববারের ম্যাচে মুম্বাইয়ের হারের প্রতিক্ষা করতে হবে রাজস্থানকে। আবার এটাও আশা করতে হবে যাতে চেন্নাইকে হারিয়ে পাঞ্জাবের নেট রান রেট তাদের না ছাড়িয়ে যায়।
মুম্বাইয়ের হারের প্রতিক্ষা করবে পাঞ্জাব। আবার সেই সাথে চেন্নাইকে বড় ব্যবধানে হারাতে হবে যাতে রাজস্তানের সাথে নেট রান রেটের ব্যবধান ঘুচে যায়। রাজস্থান যদি ৫ রানে জিতে, পাঞ্জাবকে জিততে হবে কমপক্ষে ২৭ রানে।
যদি ব্যাঙ্গালুরু এবং হায়দ্রাবাদ জিতে যায়, তাহলে ব্যাঙ্গালুরু কোয়ালিফাই করবে আর রাজস্থান বাদ পড়ে যাবে। তাহলে মুম্বাইয়ের হার প্রার্থনা করতে হবে কলকাতাকে। তাহলে চার নম্বর স্থান নিশ্চিত হবে কলকাতার। ওদিকে যদি চেন্নাইকে পাঞ্জাব হারিয়ে দেয় তাহলেও পাঞ্জাবের চেয়ে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকবে কলকাতা।
মুম্বাইয়ের হিসাব একটাই। জিততে হবে। না জিতলেই বিদায়।
মুম্বাইয়ের হারই কেবল পাঞ্জাবের রাস্তা পরিস্কার করতে পারে। তবে যদি পাঞ্জাব জিতে এবং কলকাতা বড় ব্যবধানে হেরে যায় তাহলে। কলকাতা যদিও ৫০ রানে হেরে যায় তাহলে নেট রান রেটের হিসাবে পাঞ্জাব এগিয়ে যাবে।
যদি ব্যাঙ্গালুরু ও কলকাতা জিতে যায় তাহলে রাজস্থানের কপাল পুড়বে। কলকাতা প্লে অফ নিশ্চিত করে ফেলবে। তবে আগের মতোই চেন্নাইকে তিনে নামাতে চাইলে কলকাতাকে ৫০ রানের ব্যবধানে জিততে হবে, আর চেন্নাইয়ের ৩০ রানের হারের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
দিল্লির বিপক্ষে মুম্বাই কি করে তার দিকে চেয়ে থাকতে হবে ব্যাঙ্গালুরুকে। যদি মুম্বাই জিতে যায়, তাহলে চতুর্থ স্থানের জন্য নেট রান রেটের হিসাবে মুম্বাই নিশ্চিত হয়ে যাবে।
যদি ব্যাঙ্গালুরু ৩৫ রানের ব্যবধানে রাজস্থানকে হারায়, আর যদি মুম্বাইয়ের জয় হয় ৫ রানের ব্যবধানে (প্রথম ব্যাটিং করা দলের স্কোর হতে হবে ১৮০), তাহলে নেট রানরেটের হিসাবে রাজস্থানের সুযোগ থাকবে।
মুম্বাইয়ের হিসাব আগের মতোই, জিতলেই প্লে অফ নিশ্চিত। হারলেই বাদ।
আর পাঞ্জাবের জন্য শেষ ম্যাচে শুধু জয় পেলেই হবে না, কারণ তাদের নেট রান রেট ব্যাঙ্গালুরুর চেয়ে অনেক কম।
বাংলাদেশ সময়ঃ ১৭০০ ঘণ্টা, ১৯ মে, ২০১৮
এমএইচএম/এমএমএস