সেই সব তরুণ ক্রিকেটীয় প্রতিভাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ঢাকার ৩২টি একাডেমি নিয়ে একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটি।
শনিবার (১৯ মে) মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির সামনে ছিল আসন্ন সেই টুর্নামেন্টের ট্রফি উন্মোচন। এই লক্ষ্যে সেখানে হাজির হয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি গেমস ডেভেলপমেন্ট চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন। ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক স্পিন স্পেশালিস্ট মোহাম্মদ রফিক ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের ওয়ানডে দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা।
অনুষ্ঠান শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন মাশরাফি। উদ্যোগটির প্রশংসা করেন। এরপর দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নের লক্ষ্যে বিসিবির এমন উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানান এই টাইগার দলপতি। ‘অবশ্যই খুব ভালো একটা উদ্যোগ। ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ, বিশেষ করে বিসিবির ডেভেলপমেন্ট কমিটিকে ধন্যবাদ, সুজন ভাইকে (খালেদ মাহমুদ) ধন্যবাদ। সাধারণত এ ধরনের টুর্নামেন্ট দেখা যায় না। ঢাকা লিগের বাইরের প্লেয়ারদের জন্য এটা বড় একটা সুযোগ। আশা করি তারা এখানে ভালো করলে বিভিন্ন ক্লাব থেকে শুরু করে বিসিবির আন্ডারে বিভিন্ন জায়গায় সুযোগ পেতে পারে। যারা খেলতে পারেনি, তাদের জন্য দারুণ একটা সুযোগ। ’
টুর্নামেন্টটিকে তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের জাতীয় পর্যায়ে উঠে আসার নতুন এক প্ল্যাটফর্ম বলেও উল্লেখ করেন ম্যাশ।
‘দেখেন যত বেশি টুর্নামেন্ট হবে, যত বেশি খেলা হবে তত প্লেয়ার উঠে আসবে। এখন তো বিসিবির অধীনে বেশির ভাগ টুর্নামেন্ট শেষ, হয়তো দ্বিতীয় বা তৃতীয় বিভাগ বাকি আছে। এর বাইরেও একটা টুর্নামেন্ট যারা খেলছে তাদের জন্য এই উদ্যোগ। তারা যদি নিজেদের এক্সপ্রেস করতে পারে তাহলে কোনো ক্লাব বা বিসিবির অধীনে দলে সুযোগ পেতে পারে। ’
উল্লেখ্য, ঢাকা মেট্টোর ৩২টি প্রাইভেট একাডেমির অংশগ্রহনে ও বিসিবি'র আয়োজনে প্রথমবারের মতো আগামী ২০ মে থেকে ৫ জুন ঢাকার তিন ভেনু, বিকেএসপি, সিটি ক্লাব মাঠ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে শুরু হচ্ছে বিসিবি একাডেমি কাপ ক্রিকেট।
ম্যাটিং উইকেটের এই ক্রিকেটে অংশগ্রহকারীদের অবশ্যই ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্টোপলিশের (সিসিডিএম) নিবন্ধনভূক্ত প্রিমিয়ার ডিভিশন, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ ক্লাব ও একাডেমির বাইরের হতে হবে।
বয়স হতে হবে ১৫-১৮ বছরের মধ্যে।
জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৫, ১৭ ও ১৯ দলের খেলোয়াড়রাও এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবেন না।
এখান থেকে বাছাইকৃত ১৫-২০ জন ক্রিকেটার ৫ সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেয়ার সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি সেরা চার একাডেমিকে উন্নত অনুশীলন সুবিধা প্রদান করবে বিসিবি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ১৯ মে, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস