তবে এমন প্রস্তাবের বিরুদ্ধে হাঁটছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। তিনি তার স্বদেশী বিশেন সিং বেদি ও দিলিপ ভেংসরকারের সঙ্গে একমত পোষন করে ঐতিহ্যবাহী টস প্রথায় থাকতে চান।
এ প্রসঙ্গে গাঙ্গুলি বলেন, ‘এটা আসলে দেখার বিষয় এটি বাস্তবায়ন হয় কিনা? তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি টস প্রথা বিলুপ্তির বিরুদ্ধে। ’
আইসিসির ইঙ্গিতে জানা যায়, টস না করে সফরকারী দেশ নির্ধারণ করবে তারা ফিল্ডিং করবে না ব্যাটিং। কেননা সম্প্রতি স্বাগতিক দেশগুলো দেশের মাঠ ও পিচকে পুরোপুরি নিজেদের মতো করে সাজিয়ে রাখে। ফলে সফরকারীদের অবস্থা হয় বেহাল।
১৮৭৭ সালে মেলবোর্নে ইতিহাসের প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। সেই থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিটি টেস্টেই টস হয়ে এসেছে। তবে আইসিসির বড় একটি প্যানেলই এখন এর বিপক্ষে।
আগামী বছর থেকে শুরু হওয়া আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে টস পদ্ধতি তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত কার্যকর করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এমনকি আগামী অ্যাশেজেও পদ্ধতিটি প্রয়োগ করার কথা ভাবা হচ্ছে।
আসছে সভায় যা থাকছে তার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ হলো, ‘টেস্টে স্বাগতিক দেশ উইকেট যেভাবে বানায়, তা উদ্বেগজনক। কমিটির একাধিক সদস্য বিশ্বাস করেন, প্রতিটি টেস্টেই টসের সিদ্ধান্ত সহজাতভাবেই সফরকারী দলকে উপহার দেওয়া উচিত; যদিও কমিটিতে এর দ্বিমত পোষণকারীরাও রয়েছেন। ’
মুম্বাইতে অনুষ্ঠেয় আইসিসির এই কমিটিতে আছেন অনিল কুম্বলে, অ্যান্ড্রু স্ট্রস, মাহেলা জয়াবর্ধনে, রাহুল দ্রাবিড়, টিম মে, নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী ডেভিড হোয়াইট, আম্পায়ার রিচার্ড ক্যাটেলবোরো, আইসিসি ম্যাচ রেফারিদের প্রধান রঞ্জন মাদুগালে, শন পোলক এবং ক্লার কনর।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, ২২ মে, ২০১৮
এমএমএস