তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল, গেল দু’দিন বিছানায় কাটিয়েছেন। পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়ানোর মতো শক্তিটুকুও ছিলো না।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মেডিকেল বিভাগ শুরু থেকেই বলে আসছে তাদের দেয়া প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যথা না সারলে মেশিনের সাহায্যে একটি ইনজেকশন দিয়ে ব্যাথা সারিয়ে তোলা হবে। পাশপাশি তারা তাসকিনকে আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, সেই ইনজেকশন দিতে প্রয়োজনে তাকে কলকাতায় পাঠানো হবে।
দুর্ভাগ্য তাসকিনের। দুটোর কোনটাই তার জন্য করতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দেশে ইনজেকশন দেয়ার ব্যবস্থা থাকলেও বিসিবি মেডিকেল বিভাগের পক্ষে তা এখনও তার শরীরে দেয়া সম্ভবপর হয়ে উঠেনি। আর কলকাতায় পাঠানো সম্ভব হয়ে ওঠেনি কারণ ভারতের মেডিকেল ভিসা প্রক্রিয়া নাকি খুব জটিল।
দেরিতে হলেও আশ্বস্ত করলেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। আগামীকাল সন্ধ্যার মধ্যেই নাকি তাকে ঢাকা থেকে ইনজেকশন দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ‘ভারতে চিকিৎসা ভিসা প্রক্রিয়া খুবই জটিল। ওর সুস্থ্য হতে সময় লেগে যাবে। তাই ওর দ্রুত আরোগ্যের বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা দু’এক দিনের মধ্যে এখান থেকেই ইনজেকশন দিব। ’
ইনজেকশনটি তার শরীরে দেয়া হলে ছয় মাস থেকে এক বছর তার কোনো ব্যথা থাকবেন না বলে জানালেন এই বিসিবি চিকিৎসক। ‘তত্বগতভাবে নুন্যতম ৬ মাস ওর শরীরে কোন ব্যথা থাকবে না। এক বছরও হতে পারে। ব্যতিক্রমতো হতেই পারে। ’
তীব্র এই ব্যথার ফলে আফগানিস্তান সিরিজ থেকে ছিটকে তো গেছেনই, ১৫ পেসার নিয়ে ২৪ মে থেকে কক্সবাজারে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের হাই পারফরম্যান্স বিশেষায়তি বোলিং স্কোয়াডের ক্যাম্প মিস করবেন এই টাইগার স্পিড স্টার। এতে করে যথেষ্ঠই ক্ষতিগ্রস্থ হবেন বলে জানালেন। ‘এই ক্যাম্পটি করতে পারলে আমার ফিটনেস ও স্কিল আরও ভাল হতো। সেটা আর হচ্ছে না। ’
চিকিৎসায় তার প্রতি বিসিবি’র এমন দীর্ঘসুত্রিতার পরেও তার কোনো অভিযোগ নেই। কারো প্রতি কোনো ক্ষোভ বা রাগ নেই। ব্যথার তীব্রতায় কাতর তাসকিন এই প্রতিবেদকের সাথে কথার শেষ দিকে অনুরোধ করে বললেন, আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আমি দ্রুত মাঠে ফিরতে পারি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, ২৩ মে, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস