কিন্তু ঠিক কি কারণে ক্রিকেটের ৩৬০ ডিগ্রি খ্যাত এই তারকা অবসর নিলেন? আজ আমি একটি বড় সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি, ভিডিওর ক্যাপশনে এমনটি লিখে তিনি বলেন, ‘ ১১৪ টি টেস্ট, ২২৮টি ওয়ানডে ও ৭৮টি টি-টোয়েন্টি শেষে সত্যি কথা বলতে আমি ক্লান্ত। এতদিন আমার সময় ছিল, এখন অন্য কাউকে এই দায়িত্ব বুঝে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এটা কোনো ব্যাপার না যে, প্রোটিয়াদের হয়ে আমি কখন কোন ফরম্যাটে খেলেছি। আমি দ.আফ্রিকার কোচ ও স্টাফদের প্রতি কৃতজ্ঞ যে, তারা আমাকে প্রচুর সমর্থন দিয়েছে। সবচেয়ে বড় ধন্যবাদ দিতে চাই আমার ক্যারিয়ার জুড়ে যারা আমার সতীর্থ হিসেবে ছিল। আমার এই মুহূর্তে দেশের বাইরে খেলার কোনো পরিকল্পনা নেই। আমি ঘরোয়া দল টাইটান্সের হয়ে থাকবো এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ও ফাফ ডু প্লেসিসে (বর্তমান অধিনায়ক) সমর্থন দিয়ে যাবো।
সম্প্রতি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ‘ইএসপিএন’ কর্তৃক ঘোষিত সেরা ১০০ ক্রীড়াবিদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স।
২০০৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের মধ্য দিয়ে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয়ে ডি ভিলিয়ার্সের। আর সাদা পোশাকের এই ফরম্যাটে ১১৪টি ম্যাচে ২২টি সেঞ্চুরি, ৪৬টি হাফসেঞ্চুরি ও ৫০.৬৬ গড়ে ৮ হাজার ৭৬৫ রান করেছেন।
পরের বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইংলিশদের বিপক্ষে ডি ভিলিয়ার্সের ওয়ানডেতে অভিষেক। এই ফরম্যাটেও কম যাননি তিনি। ৫০ ওভারে ২২৮ ম্যাচ খেলে ২৫টি সেঞ্চুরি ও ৫৩টি ফিফটি সহ ৫৩.৫০ গড়ে ৯ হাজার ৫৭৭ রান করেছেন।
ক্রিকেটের সবচেয়ে নবীনতম ফরম্যাট টি-টোয়েন্টিতে ২০০৬ সালে অভিষেক হয় ডানহাতি এ ব্যাটসম্যানের। যেখানে ৭৮ ম্যাচে ১০টি হাফসেঞ্চুরি ও ১৩৫.১৬ স্ট্রাইকরেটে এক হাজার ৬৭২ রান করেছেন।
এদিকে ক্রিকেটে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ডি ভিলিয়ার্স ৪৬৩ ক্যাচ,
১৭ স্টাম্পিং (উইকেটরক্ষ থাকাকালীন) করেছেন। তার ব্যাট থেকে ৩২৮ ছক্কা ও ২০০৪ চারের মারও এসেছে।
গ্রায়েম স্মিথের পরবর্তী দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেরই অধিনায়ক ছিলেন ডি ভিলিয়ার্স।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, ২৩ মে, ২০১৮
এমএমএস