২০১৭ সালে টেস্ট ক্রিকেটের এলিট ক্লাবের ১১তম সদস্যের সম্মান অর্জন করে আয়ারল্যান্ড। চলতি বছরের মে মাসেই নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম টেস্ট খেলতে নামে আইরিশরা।
ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে ২০০৬-১১ সাল পর্যন্ত খেলেও যে সম্মান আর বিনিময় পান নি, নিজ দেশ আয়ারল্যান্ড তাকে সেই সম্মানে অধিষ্ঠিত করেছে। যে টেস্ট খেলার স্বপ্ন নিয়ে ইংল্যান্ডে পাড়ি দিয়েছিলেন তা পূরণ করার সুযোগ দেয় নি ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড। নিজ দেশের অভিষেক টেস্ট ম্যাচে মাঠে নেমে স্বপ্ন পূরণ করেছেন জয়েস। এবার দেশের তরুণদের মনে স্বপ্ন বুনে দেয়ার দায়িত্বও নিজ কাঁধে তুলে নিলেন তিনি। যেহেতু টেস্ট ক্রিকেট আইরিশদের জন্য আর কোন কল্পনার বিষয় নয়, তাই যাদের হাত ধরে কল্পনা বাস্তবে রূপ নিয়েছে তাদেরই একজন জয়েসের হাতেই দলের ভবিষ্যৎ তুলে দিচ্ছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।
এড জয়েসই একমাত্র আইরিশ ব্যাটসম্যান যিনি দুই দেশের হয়ে বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিলেন। ইংল্যান্ডের হয়ে ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে অংশ নেয়ার পর ২০১১ সালে নিজ দেশ আয়ারল্যান্ডের হয়ে মাঠে নামেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা প্রথম আধুনিক আইরিশ ক্রিকেটার। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে নিজ দেশের হয়ে মাঠে নামেন জয়েস এবং ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে ইংলিশদের বিপক্ষেই নিজ দেশের জয় উপভোগ করেন।
আয়ারল্যান্ডের জাতীয় দলের হয়ে ৬১ ওয়ানডে ও ১৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন জয়েস। এর আগে নাগরিকত্ব লাভ করা ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের হয়ে ১৭টি ওয়ানডে ও ২ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ৭৮ ওয়ানডেতে এড জয়েসের রান ৩৮.০০ গড়ে ২৬২২ রান। ওয়ানডেতে তার ১৫ ফিফটির বিপরীতে ৬টি সেঞ্চুরিও আছে তার। ৩৫টি টি-টোয়েন্টিতে ১৮.২৪ গড়ে ৫২৯ রান আর একমাত্র টেস্টে তার রান ৪৭।
বাংলাদেশ সময়ঃ ১২২৫ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৮
এমএইচএম