তাতে কিছুটা শোক তো থাকবেই। শিরোপার একেবারে কাছে গিয়ে তা হাতছাড়া হওয়ার শোক যাকে বলে।
সাকিব বলেন, ‘ভালই। হয়তো আরেকটু ভালো হতে পারতো। তবে ওভারঅল স্যাটিসফাইড রেজাল্ট হয়েছে টিমের। ’
দলের ওভারঅল পারফরম্যান্সে তৃপ্ত সাকিব নিজেকে নিয়েও তৃপ্ত। আপন পারফরম্যান্স দেখিয়ে হয়ে উঠেছিলেন দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ। একটি ম্যাচেও ডাগআউটে বসে থাকতে হয়নি। আইপিএলে এমন অভিজ্ঞতা সাকিবের জন্য এবারই প্রথম। কেননা কলকাতার হয়ে কোনো আসরেই সব ম্যাচ তার খেলা হয়ে ওঠেনি। তাই নিজেকে অতৃপ্তির কোনো কারণ থাকার কথা নয়।
তার অতৃপ্তি শুধু একটি জায়গায়। সেটা বোলিং কিংবা ফিল্ডিংয়ে বা অন্য কোনো অহেতুক বিষয়ে নয়। নিজের ব্যাটিং নিয়ে। অবশ্য তার মতো বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের এমন অনুভূতি হওয়াটাই স্বাভাবিক।
হাফসেঞ্চুরি সে তো অনেক দূরের কথা। সর্বোচ্চ ৩৫ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে! গেল ৭ মে হায়দ্রাবাদের ঘরের মাঠে বিরাট কোহলির ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৩২ বলে এই সংগ্রহ পেয়েছিলেন। বাকি ১৬ ম্যাচের কোনটিতেই ৩০ রানের কোঠাও স্পর্শ করতে পারেননি। ব্যাটিং গড় ২১.৭২। তাই হয়তো তার এমন অতৃপ্তি।
‘ব্যক্তিগত দিক থেকে সন্তুষ্ট। কিন্তু একটা অতৃপ্তি আছে। সেটা হলো প্রতি ম্যাচেই ভাল শুরুর করার পরেও রানটা বড় করতে পারিনি। ’-যোগ করেন সাকিব।
ব্যাট হাতে ১৭ ম্যাচে ২৩৯ রান করা সাকিব সমান সংখ্যক ম্যাচে বল হাতে পেয়েছেন ১৪টি উইকেট।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, ২৮ মে, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস