হ্যারিকেন ইরমা ও মারিয়ার আঘাতে লণ্ডভণ্ড ক্যারিবীয়ান অঞ্চলের স্টেডিয়াম সংস্করণে এ ম্যাচটি আয়োজিত হয়। যেখানে ম্যাচটিকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির স্বীকৃতিও দেয়া হয়।
এদিন প্রথমে ব্যাট করা উইন্ডিজরা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রান তোলে। জবাবে ১৬.৪ ওভারে ১২৭ করতেই শেষ হয় বিশ্ব একাদশের সব উইকেট।
ঐতিহাসিক লর্ডসে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ক্যারিবীয়রা। যেখানে ওপেনার এভিন লুইসের হাফসেঞ্চুরি এবং মারলন স্যামুয়েলস ও দিনেশ রামদিনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দারুণ পুঁজি পায় দলটি।
২৬ বলে ৫টি চার ও সমান ছক্কায় ৫৮ করেন লুইস। ২২ বলে ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৪৩ করেন স্যামুয়েলস। আর ২৫ বলে ৩টি চার ও সমান ছক্কায় ৪৪ করে অপরাজিত থাকেন রামদিন। শেষ দিকে ১০ বলে ৩টি ছক্কায় ২১ করেন আন্দ্রে রাসেল। তারকা ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল করেন ১৮ রান।
বিশ্ব একাদশ বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট পান আফগানিস্তানের স্পিনার রশিদ খান। এছাড়া একটি করে উইকেট দখল করেন পাকিস্তানের শোয়েব মালিক ও বিশ্ব একাদশের অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি।
২০০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে বিশ্ব একাদশ। ব্যক্তিগত ২ রানে প্যাভিলনে ফেরেন বাংলাদেশি তারকা তামিম ইকবাল। তিনি সহ প্রথম চার ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের ঘরেই যেতে পারেননি।
বিশ্ব একাদশের হয়ে সম্মানসূচক ব্যাট করেন শ্রীলঙ্কার থিসারা পেরেরা। তিনি ৩৭ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬১ করে বিদায় নেন। তবে দলের হয়ে অন্য কোনো ব্যাটসম্যান ২০ রানের কোঠাও পার করতে না পারায় নুন্যতম লড়াইটাও করতে পারেনি বিশ্ব একাদশ।
ক্যারিবীয় বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন কেসরিক উইলিয়ামস। এছাড়া ২টি করে উইকেট পান স্যামুয়েল বদ্রি ও আন্দ্রে রাসেল।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪০ ঘণ্টা, ০১ জুন, ২০১৮
এমএমএস