রোববার মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে অনুশীলনের আগে তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ‘এখন আমি চিন্তা করি বাংলাদেশের হয়ে ৪-৫ বছর খেলার মতো সামর্থ্য আছে।
তার কথার সূত্র ধরেই প্রশ্ন আসে, কিসের ভিত্তিতে ভারসাম্যপূর্ণ বর্তমান বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে ঢুকতে তিনি এমন প্রত্যয়ী হয়ে উঠলেন? তার জায়গায় এখন যিনি বা যারাই খেলছেন সবাইতো পরীক্ষিত পারফরমার। তাদের সরিয়ে তাকে কেন নেওয়া হবে?
নাঈমের উত্তর হলো, দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রতিটি আসরেই তিনি দারুণ ধারাবাহিক। সেই পারফরম্যান্স গুনে হলেও টাইগার স্কোয়াডে তিনি আবার ডাক পেতেই পারেন। স্থায়ী না হোক পরীক্ষামূলকভাবে হলেও দু' একটি সিরিজি তাকে জায়গা দেওয়া যেতেই পারে।
পারফর্ম করতে না পারলে তিনি বাদ পড়বেন। সেই এখতিয়ারতো নির্বাচকদের আছেই। ঠিক যেমন তারা এখন বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাককে সুযোগ দিচ্ছেন।
তবে সেক্ষেত্রে তাকে একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। অন্য সবার মতো তাকেও শুরুটা করতে হবে ‘এ’ দল দিয়ে। সেখানে পারফর্ম করতে পারলে তবেই জাতীয় দল। আর সে লক্ষ্যেই তিনি এখন নিবিড় অনুশীলনে ঘাম ঝরাচ্ছেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজকে সামনে রেখে আগামি ১০ জুন 'এ' দল ঘোষণা করবে বিসিবি। কঠোর অনুশীলন করে সেখানে নিজেকে দেখতে চাইছেন নাইম।
সিরিজে আইরিশদের সঙ্গে পারফর্ম করলে জাতীয় দলে ফেরাটা তার জন্য সহজ হবে। সেটা না হলেও অন্তত নিজের খেলোয়াড়ি সন্তুষ্টি থাকবে বলে মত তার। ‘এ’ টিম ন্যাশনাল টিমে ফেরার জন্য খুব ভাল একটা প্ল্যাটফর্ম। আমি এখানে যদি ভাল করতে পারি, সুযোগ আসবে কি আসবে না সেটা পরের কথা, এখানে পারফর্ম করলে নিজের ভেতর সন্তুষ্টি কাজ করবে। '
নাম নাইম ইসলাম হলেও এদেশের ক্রিকেট অঙ্গনে তিনি ‘ছক্কা নাইম’ নামেই বেশি পরিচিত। ব্যাট হাতে একসময় ছয়ের ফুলঝুড়ি ছুটিয়ে রানের বন্যা বইয়ে দিতে তার জুড়ি ছিল না। সেই ছক্কা নাইম আর টাইগার স্কোয়াডে নেই।
বাংলাদেশের হয়ে ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত এই অলরাউন্ডারকে টেস্টে সবশেষ দেখা গিয়েছিল ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, ওয়ানডেতে ২০১৪ এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আর টি টোয়েন্টিতে ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৮
এইচএল/এমকেএম