রশিদের হ্যাট্টিক হয়নি ঠিকই। কিন্তু ততক্ষণে সফরকারী দেশটির সর্বনাশ যা হবার তা হয়ে গেছে।
তখনও টাইগার সমর্থকেরা মাহমুদউল্লাহর দিকে তাকিয়ে। যদি নিদাহাস ট্রফির সেই ম্যাচটিকে আবার ফেরাতে পারেন! না তিনি সেটা পারেননি। ১৮তম ওভারের চতুর্থ বলে শাপুর জাদরান তাকে ব্যক্তিগত ২৯ রানে উসমান গনির হাতে তুলে দিলে হারের ক্ষণ গণনা শুরু হয়ে যায় সাকিবদের।
এরপর টেল-এন্ডাররা একে একে বিদায় নিলে ৬ বল বাকি থাকতেই ১২২ রানে গুটিয়ে গিয়ে ৪৫ রানে হারের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
অথচো আফগানদের দেয়া ১৬৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা টাইগারদের গল্পটা এমন বিষাদের নাও হতে পারতো, যদি না ওপেনিংয়ে নেমে তামিম ইকবাল ব্যক্তিগত ০ রানে ফিরতেন। আহামরি কিছু করে দেখাতে পারেননি আরেক ওপেনার লিটন দাসও। ম্যাচের ভাগ্য বিবেচনা করে ২০ বলে তার খেলা ৩০ রানের ইনিংসটি আরও বড় হতেই পারতো।
তিনে নামা টাইগার দলপতি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানই বা দায়িত্বশীলতা পরিচয় দিলেন কোথায়? ম্যাচের অমন প্রয়োজনে ১৫ বলে ১৫ রানে করে নবীর অফস্ট্যাম্পের বাইরেরর বলটি না খেলে উইকেটে থিতু হতেই পারতেন। তাতে আর যাই হোক দল চাপে পড়ত না। যে চাপ শেষ পর্যন্ত আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি কোর্টনি ওয়ালশের শিষ্যরা। যা দিন শেষে হারের কালিমা লেপে দিলো লাল-সবুজের কপালে। প্রশ্নবিদ্ধ করলো তাদের টি-টোয়েন্টির সামর্থ।
আফগানদের হয়ে বল হাতে রশিদ খান, শাপুর জহাদরান ৩টি করে, মোহাম্মদ নবী ২টি, মুজিব উর রহমান ও করিম জানাত ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
এরআগে রোববার (৩ জুন) দেরাদুনের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে ১৬৮ রানের টার্গেট বেঁধে দেয় আফগান শিবির। টস জিতে আফগানদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানালে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৭ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় আফগানিস্তান।
ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম থেকেই রানের চাকা সচল রাখে আফগানরা। ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদের সর্বোচ্চ ৩৭ বলে ৪০ ও সামিউল্লাহ শেনওয়ারির ১৮ বলে ৩৬ রানের ঝড়ো ব্যাটিংয়েই মুলত এই সংগ্রহ পায় স্বাগতিক শিবির।
দলের হয়ে উসমান গনি ২৬ ও শফিকুল্লাহ খেলেছেন ২৪ রানের কার্যকর ইনিংস।
বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম উইকেট তুলে নেন রুবেল হোসেন। নবম ওভারের তৃতীয় বলে ব্যক্তিগত ২৬ রানে ওপেনার ওসমান গনির উইকেট ভেঙে দেন তিনি।
১২তম ওভারে অধিনায়ক সাকিব তুলে নিয়েছেন প্রতিপক্ষের ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদের উইকেট। ১৩তম ওভারে বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ তুলে নেন জোড়া উইকেট।
১৮তম ওভারে আবু জায়েদ রাহি তুলে নিয়েছেন ৫ম উইকেট। ২০তম ওভারে ষষ্ঠ উইকেট নেন আবুল হাসান রাজু। একই ওভারে নিজের দ্বিতীয় উইকেট নেন রাজু।
৩ ওভারে ১৩ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন রশিদ খান।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৬ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৮
এইচএল/জিপি