মঙ্গলবার (৫ জুন) ভারতের দেরাদুনে আফগানিস্তানের সঙ্গে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৬ উইকেটে হেরে যায় বাংলাদেশ দল। তার আগের ম্যাচেও ৪৫ রানের বড় ব্যবধানে হেরে যায় সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন টাইগাররা।
পাপনের মতে, তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজেরে প্রথম দু’টি খেলার কোনোটিতেই সিনিয়র ব্যাটসম্যানদের উইকেটে থিতু হওয়ার লক্ষণ দেখা যায়নি। ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনা করেও তারা খেলেননি। তার চেয়েও তিনি বেশি ‘বিস্মিত’ হয়েছেন রশিদ খান, মুজিব উর রহমানের মতো বোলারদের মোকাবেলা নিয়ে দলের কোনো পরিকল্পনাই না দেখে।
পাপন বলেন, ‘হতে পারে আফগানিস্তানের বোলিং খুব ভাল, ওদের রশিদ খান আছে। অস্বীকার করার উপায় নেই সে একজন বিশ্বসেরা বোলার। তারপরও ১৫০-১৬০ রান হবে না, এটা কখনো মনে হয়নি। যখনই মনে হয়েছে ব্যাটসম্যানরা সেট হয়েছে, আমরা বড় সংগ্রহের দিকে যাচ্ছি, তখনই মনে হয়েছে উইকেটটা বিলিয়ে দিয়ে এসেছে। ’
‘যেভাবে আমাদের অভিজ্ঞ সিনিয়র প্লেয়াররা আউট হয়েছে সেটা আসলেই চোখে লাগার মতো। অযথা ঝুঁকিপূর্ণ শটস নেওয়া ঠিক হয়নি। রশিদ খানকেই ছয় মারতে গিয়ে আউট হওয়া… এগুলো কোনোভাবে মেলে না। ’ বলেন বিসিবি সভাপতি।
প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশ স্বাভাবিক খেলাটি খেলতে পারেনি উল্লেখ করে পাপন আরও বলেন, ‘এটা বাংলাদেশের স্বাভাবিক খেলা না। অবশ্যই কোনো সমস্যা আছে। বাংলাদেশ দল মনেই হচ্ছে না। আমি মনে করি আমাদের ব্যাটিং বিপর্যয়টাই বেশি। খুব বাজে শটস খেলেছে প্লেয়াররা। খুব খারাপ সময় ঝুঁকি নিতে গিয়ে আউট হয়েছে এবং তারা সবাই সিনিয়র ক্রিকেটার। এটাই খারাপ লাগছে। ’
ক্রিকেটারদের ‘বডি ল্যাংগুয়েজ’ দেখে বারবারই পাপনের মনে হয়েছে, এ যেন বছরের শুরুতে ঘরের মাটিতে বিপর্যস্ত হওয়ার সেই বিষাদে ভরা (শ্রীলঙ্কার সঙ্গে খেলা) সিরিজ। পাপন বলেন, ‘এটা খুবই হতাশাজনক। ’
ব্যাটিংকে দুষলেও প্রথম দুই ম্যাচে টাইগার বোলারদের কোনো সমস্যা দেখেননি বিসিবি প্রধান। তার মতে, ‘বোলিং ঠিক আছে। আফগানরা যদি ১৮০ বা ২০০ করতো তাহলে বুঝতাম খারাপ হয়েছে। ১৮০ রানও তো এখনও হয়নি। কী করে ওদের খারাপ বলি। ১৩০-১৪০ করাতো ব্যাপার না। আমিতো মনে করি এটা স্বাভাবিক। ’
বৃহস্পতিবার (৭ জুন) দেরাদুনের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। প্রথম দুই ম্যাচে ‘অচেনা’ বাংলাদেশ কি শেষ ম্যাচে নিদাহাস ট্রফির মতো ‘চেনা’ হয়ে উঠতে পারবে?
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১৮
এইচএল/এইচএ/