নিজের এক অপ্রকাশিত আত্মজীবনীতেই এমন কথা লিখেছেন রেহাম। বইটি এখনও প্রকাশ না হলেও ইতিমধ্যেই প্রকাশিতব্য বইটির পাণ্ডুলিপির ৪০২ থেকে ৫৭২ পৃষ্ঠা ফাঁস হয়ে গেছে।
ইমরান খানের সঙ্গে রেহাম খানের দাম্পত্য জীবন মাত্র ১০ মাসের। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে রেহাম খানকে বিয়ে করেন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক। একই বছরের অক্টোবরেই ভেঙে যায় তাদের সংসার। এরপর অবশ্য ইমরান আরও একটি বিয়ে করেছিলেন।
ক্রিকেট থেকে অবসরের পর রাজনীতিতে যোগ দেন ইমরান। সেখানেও বেশ জনপ্রিয়তা পান। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান হিসেবে আছেন তিনি। সেই দল নিয়েই আলোচনায় এখন রেহাম খান। ইমরানের সাবেক এই স্ত্রীর দাবি, 'যৌন সুবিধা নিতেই দলে (পিটিআই) নারীদের উচ্চ পদে বহাল করেন ইমরান খান'।
শুধু বইয়ে লিখেই চুপ থাকেননি তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারেও রেহাম খান বলেন, ‘ইমরান খানের প্রতিষ্ঠিত পিটিআই দলে নারীরা তখনই উঁচু পদ পান, যখন তারা দলের প্রধানের সঙ্গে বিছানায় যেতে রাজি থাকেন। কেউ বড় পদ চাইলে ইমরান সরাসরি তাকে জানিয়ে দেন, তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করতে হবে। যৌন সুবিধা নিতেই নারী নেত্রী ও কর্মীদের উচ্চ পদে বহাল করেন তিনি। ’
কিছুদিন পরই পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন। তার আগে রেহাম খানের পাণ্ডুলিপি প্রকাশকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছে পিটিআই। তবে রেহাম খানের দাবি, পাণ্ডুলিপি প্রকাশের পেছনে তার কোনো হাত নেই।
শুধু ইমরানের দিকে আঙুল তুলেই ক্ষান্ত হননি রেহাম। বইয়ে আরেক বোলিং কিংবদন্তি আকরাম খানের কথাও উল্লেখ করেছেন। এছাড়া রেহামের প্রথম স্বামী ড. ইজাজ রহমান, ব্রিটিশ ব্যবসায়ী সাইদ জুলফিকার বুখারির কথাও উল্লেখ আছে এই বইয়ে। ইতিমধ্যেই বইটির প্রকাশ নিষিদ্ধ করার আবেদন জানিয়েছে উল্লেখিত ব্যক্তিরা ও পিটিআই। রেহামকে আইনি নোটিশও পাঠিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৮
এমকেএম/এসএইচ