সেদিন এক ওভারে ৫ ছক্কার পাশাপাশি মিলার ৩৫ বলে তুলে নিলেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরি।
বিশ্বের কোটি কোটি ক্রিকেট প্রেমীর মতো তার সেদিনের সেই দানবীয় ব্যাটিং আজও ভুলতে পারেননি সাইফউদ্দিন। তবে আশার কথা হলো সমর্থকদের মতো বিষয়টি মনে রেখেই ক্ষান্ত নন ২১ বছর বয়সী লাল-সবুজের এই পেস অলরাউন্ডার। বরং সেখান থেকে নিচ্ছেন শিক্ষা। কী করে নিজের বোলিং আরও উন্নত করা যায়, কী করে লাইন ও লেংথ নিখুঁত করা যায়। আর কীভাবেই বা আরও হিসেবি হওয়া যায়।
শনিবার (৯ জুন) মিরপুরে সেকথাই তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানালেন।
সাইফউদ্দিন বলেন, ‘ওইটা আমার ক্যারিয়ারের জন্য একটা শিক্ষা হয়ে থাকবে। ওইটা ধরে যদি আমি বসে থাকতাম তাহলে বিপিএলে ভালো খেলতে পারতাম না। ’
দ. আফ্রিকা সফরে মিলারের ব্যাটে ওইভাবে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়ার পরও চলতি বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিলেটে দুই ম্যাচ সিরিজের শেষটিতে খেলেছেন সাইফউদ্দিন। ব্যাট হাতে ২০ রানের পাশাপাশি ওই ম্যাচে একটি উইকেটও পেয়েছেন। কিন্তু এরপরে নিদাহাস ট্রফি ও সদ্য সমাপ্ত আফগান সিরিজে দেশের হয়ে তার খেলা হয়নি।
ফলে জাতীয় দলের ছত্রছায়ায় থেকে তিনি আর অনুশীলনের সুযোগ পাচ্ছেন না। কিন্তু তার পরেও নিজেকে আগামীর জন্য শান দিয়ে যাচ্ছেন। এইচপি পেস বোলিং কোচ চাম্পাকা রামানায়েকের অধীনে বোলিং অনুশীন চালিয়ে যাচ্ছেন বেশ জোরশোরেই।
‘এখন চাম্পাকার (চাম্পাকা রামানায়েকে) সাথে আছি। তার সাথে কিছু বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে শেষ ওভারে এসে আমি বেশি রান দিচ্ছি। চাম্পাকা আমাকে পরামর্শ দিচ্ছেন। সেভাবে কাজ করছি। আশা করি কিছু ছোট ছোট বিষয় আছে। যা নিয়ে কাজ করলে হয়তো আমি আরো সামনে যেতে পারবো। আগে যে অবস্থায় ছিলাম, সেখান থেকে আরো উন্নতি করার চেষ্টা করছি। যতোটা সময় পাচ্ছি বোলিংয়েই দিচ্ছি। চাম্পাকা হেল্প করছে। নিজের বৈচিত্রগুলো নিয়ে কাজ করছি। ’-যোগ করেন সাইফ।
২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর দ. আফ্রিকার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষিক্ত পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৩ ম্যাচ খেলে ব্যাট হাতে ৩০ রানের পাশাপাশি বল হাতে পেয়েছেন ১ উইকেট।
একই বছর ৪ এপ্রিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে অভিষিক্ত এই অলরাউন্ডার ব্যাট হাতে ৬ ম্যাচে ৮৮ রানের পাশাপাশি বল ছুড়ে শিকার করেছেন ৪ উইকেট।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, ৯ জুন ২০১৮
এইচএল/এমএমএস