রোববার (১০ জুন) সেই হতাশার মেঘ উড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশের বাতাসে তারা ছড়িয়ে দিলেন ঈদের আনন্দ। মেয়েদের টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ।
কেননা এর আগে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ জিতলেও এই প্রথম কোনো টুর্নামেন্টের ট্রফি জিতলো মেয়েরা। এমন শিরোপা বাংলাদেশের ছেলেরাও এখন পর্যন্ত জিততে পারেননি।
এর আগে ফাইনালে টসে জিতে ভারতীয় মেয়েদের ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক সালমা খাতুন। তবে বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১১২ রানের বেশি করতে পারেনি ভারত।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেন দুই ওপেনার শামীমা সুলতানা ও আয়েশা রহমান। তাদের ৩৫ রানের জুটির পর আয়েশা ১৭ ও শামীমা ব্যক্তিগত ১৬ রানে বিদায় নেন। ১১ রান করে ফেরেন ফারজানা হক।
কিন্তু রানের চাকা মূলত সচল রাখেন নিগার সুলতানা ও রুমানা আহমেদ। ২৪ বলে ৪টি চারে ২৭ করেন নিগার। আর ২২ বলে একটি চারে ২৩ করে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যান রুমানা।
ভারতীয় বোলার পুনম যাদব ও হারমানপ্রিত কৌরের বোলিংয়ে অবশ্য শেষ দিকে কিছুটা কোনঠাসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ফলে শেষ বলে দরকার হয় ২ রান। স্ট্রাইকে থাকা জাহানারা মিড উইকেটে ঠেলে দিয়ে দ্রুততার সহিত ২ রান নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে পুনম যাদব ৪টি ও কৌর ২টি উইকেট পান।
এর আগে বাংলাদেশি নারীদের বোলিং তোপে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ভারত। টি-টোয়েন্টির ফরম্যাটের এ ম্যাচে ইনিংসের শেষ বলে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করা ভারতীয় অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌরকে আউট করেন খাদিজাতু কুবরা। ৪২ বলে ৭টি চারে নিজের ইনিংস সাজান কৌর। পরে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১২ রান করতে পারে ভারত।
১১ রান করা ভারতের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসমস্যান মিতালি রাজকে এর আগে বিদায় করেন খাদিজাতুল কুবরা। জাহানারা আল ফেরান দিপ্তি শর্মাকে। স্মৃতি মানধানা রান আউট হন। তবে অর্জুন পাতিল অবসট্রাকিং দ্য ফিল্ড হয়ে আউট হন।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট লাভ করেন খাদিজা ও রুমানা আহমেদ। এছাড়া সালমা ও জাহানারা একটি করে উইকেট দখল করেন।
এর আগে এই টুর্নামেন্টে শুধুমাত্র শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরেছিল বাংলাদেশ। পরে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তান, ভারত, থাইল্যান্ড ও স্বাগতিক মালয়েশিয়ার বিপক্ষে জয় পায় টাইগ্রেসরা।
এশিয়া কাপের সপ্তম আসরে এসে শিরোপা জিতলো বাংলাদেশ। এর আগে ছয়টি শিরোপাই ভারত জিতেছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, ১০ জুন, ২০১৮
এমএমএস