দ্বিতীয় বলে রুমানা চার হাঁকালে ব্যবধান কমে এসে দাঁড়ায় ৪ বলে ৪ রান। তৃতীয় বলে এক রান নেওয়ার পর কিন্তু চতুর্থ ও পঞ্চম বলে পরপর দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
রুমানা রান আউট হওয়ার আগে পঞ্চম বলটিতে আসে আরও ১ রান। শেষ বলে পরিসংখ্যানটা দাঁড়ায় ১ বলে ২ রান। জাহানারা আলম বলটা উড়িয়ে মেরেই দৌড়াতে থাকেন। তার সঙ্গে অধিনায়ক সালমা ইসলাম দুই দফায় দৌড়ে লাল-সবুজের দলকে ভাসায় আনন্দের জোয়ারে।
অথচ ২০১২ সালের এশিয়া কাপেও এভাবেই শেষ ওভারে ৯ রানের সামনে ছিলো বাংলাদেশ। ক্রিজে থাকা অলরাউন্ডার মাহমুদুল্লাহ ও শাহাদাত হোসেন সে রান তুলে দেশকে জয়ের আনন্দে ভাসাতে পারেননি।
পারেননি ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। ভারতের বেঙ্গালুরুতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ১ রানের হারে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয় মাশরাফিদের।
দেরাদুনে সদ্য শেষ হওয়া আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে আবারও বাংলাদেশকে মেনে নিতে হয় ১ রানের হার। জয়ের এত কাছে গিয়েও মাশরাফি, সাকিবরা যা নিজেদের করে নিতে পারেননি তাই করে দেখালেন সালমা, জাহানারারা! কিন্তু কিভাবে?
সোমবার (১১ জুন) দেশে ফিরে সংবাদ মাধ্যমকে সেই গল্পই শোনালেন শ্বাসরুদ্ধকর সেই ম্যাচ জয়ের রূপকার জাহানারা আলম।
‘আমার মনে হলো আমাকেই খেলা শেষ করতে হবে। এই বলেই আমাকে কিছু একটা করতে হবে, সেটা যেকোনো মূল্যে। এর থেকে বড় সুযোগ আমি আর পাবোনা। দ্বাদশ প্লেয়ার এসে বললো বলটা ব্যাটে লাগাতে হবে। আমি ওকে বললাম, আমাকে কিছু বলতে হবে না। মাথা ঠাণ্ডা থাকতে দাও। আমার পরিকল্পনা ছিল বল যদি একটু লুজ পাই আমি সোজা ব্যাটে খেলবো। ২, ৪, ৬ যা আসে আসবে। অথবা বলটা যেভাবে আসে খেলে দৌড়ে ২ রান নেয়ার চেষ্টা করবো। সালমা আপুকে (সালমা খাতুন) বললাম আপনি শুধু দৌড়াবেন। উনি আমাকে বললেন ব্যাটে বলটা লাগান। আমি বললাম চিন্তা করতে হবে না। পরে যা হলো তাতো আপনারা দেখেছেনই। ’
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৬ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৮
এইচএল/এনটি