ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

১৭’তে ৮-ই সাকিবদের সেরা অর্জন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৯ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৮
১৭’তে ৮-ই সাকিবদের সেরা অর্জন ১৭’তে ৮-ই সাকিবদের সেরা অর্জন।

ঢাকা: টেস্ট ক্রিকেটে ১৭ বছর পেরিয়ে ১৮’তে পা দিল বাংলাদেশ। ২০০০ সালের ২৬ জুন আইসিসি’র দশম দেশ হিসেবে ক্রিকেটের কুলীন ক্লাবে প্রবেশ করেছিল লাল-সবুজের দল। তার মানে সাদা পোশাকে টাইগারদের যাত্রা প্রায় দুই দশক হতে চলেছে। কিন্তু কতটা ঔজ্জ্বল্য ছড়াতে পেরেছে? বা সত্যিকার অর্থেই পেরেছে কী না? কিংবা অর্জনই বা কী ছিল? মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন।

সেই চড়া দামের প্রশ্নের জবাব দিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক অধিনায়ক এবং বর্তমান প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তার মতে গেল সতের বছরে ছোট এই ব-দ্বীপের টেস্ট ক্রিকেটের সবচাইতে বড় অর্জন র‌্যাংকিংয়ের আট।

যা কীনা মাস খানেক আগে প্রথমবারেরমতো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টপকে নিজেদের করে নিয়েছেন সাকিব, তামিম,  মুশফিকরা। খুব বেশি নয়, মাত্র ১০৬ ম্যাচ খেলে। তাই অন্য সব অর্জনের চাইতে এটিই তার কাছে বড় হয়ে ধরা দিয়েছে। মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। অর্জনের কথা বলতে গিয়ে এখানেই থামেননি টাইগারদের সাবেক এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। উল্লেখ করেছেন ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়ে টাইগারদের দুর্দান্ত দুটি জয়ের কথাও। পাশাপাশি রেখেছেন শ্রীলঙ্কার মাটিতে তাদের বিরুদ্ধেই শততম টেস্ট ম্যাচটিকেও। সাকিব আল হাসানের অনবদ্য ১১৬ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ৭৫ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসে যে ম্যাচে ৪ উইকেটের জয়ে দেশকে গর্বিত করেছিলেন মুশফিকুর রহিম ও তার দল।

‘কিছু সিরিজ আমাদের উল্লেখ করার মতো ছিলো। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সাথে হোম সিরিজে ভাল খেলেছি। শ্রীলঙ্কার সাথে ওদের মাটিতে যথেষ্ঠ ভাল একটা সিরিজ খেলেছি। এগুলোই আমাদের উন্নতির লক্ষণ। আর র‌্যাংকিংয়ে আটে উঠাটা অবশ্যই বড় অর্জন। কেননা আমরা তেমন টেস্ট খেলার সুযোগ পাইনি। কিন্তু যতটুকু পেয়েছি আমরা ভালভাবে কাজে লাগিয়েছি। সেজন্য আমাদের প্লেয়াররা প্রশংসার দাবীদার। ’

নান্নুর কথার সূত্র ধরে আমরা দেখে নেই ১৭ বছরের লম্বা এই সময়টিতে বাংলাদেশ কয়টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে? মাত্র ১০৬টি। এর মধ্যে জয় মাত্র ১০টিতে। ৮০ টিতেই হার। আর ড্র করেছে ১৬টি ম্যাচে।

সাদা চোখে দেখলে হারের সংখ্যাই বেশি। তাহলে কী করে তিনি বলতে পারেন তার অনুজরা প্রশংসার দাবীদার? সেই উত্তরও তার কথায় মিললো। ‘আগে যেখানে তিনদিনেই অলআউট হয়ে যেতাম বা উইকেটে টিকে থাকতে কিংবা প্রতিপক্ষের ওপর চড়াও হতে সংগ্রাম করতে হতো, সেই ব্যাপারটি কিন্তু এখান দেখা যায়না এবং টেস্ট মেজাজে কী করে খেলতে হয় সেটাও আমরা বুঝতে পেরেছি। আমার বিশ্বাস আগামী প্রজন্ম এই ধারাবাহিকতায় আরও অনেক দূর যাবে। ’

বলছেন অনেক দূরে যাবে। সময়টা বেশিই নেয়া হয়ে গেল না? পশ্চাৎপদতা ছিলো কোথায়?  দুটি কারণ উল্লেখ করলেন নান্নু। প্রথমটি মানসিকতায়। যেহেতু অন্যান্য দেশের তুলনায় সাকিব, মুশফিকরা তুলনামুলক কম টেস্ট ম্যাচ খেলে থাকেন। আর দ্বিতীয়টি, দেশের বাইরে সিরিজ জয়ে আত্মবিশ্বাসহীনতা। ..‘আমরা মানসিকভাবে পিছিয়ে ছিলাম। যেহেতু লঙ্গার ভার্সনের খেলা কম হয়। তাই মানসিকভাবে আরও শক্ত হতে হবে এবং বেশি বেশি লঙ্গার ভার্সনের ক্রিকেট খেলতে হবে। বিশেষ করে দেশের বাইরের সিরিজগুলোতে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে খেলতে হবে। ’

এই কাজগুলো সঠিকভাবে করতে পারলেই নাকি রঙিন পোশাকের মতো সাদা পোশাকেও  ওয়ালস, রোডসের শিষ্যরা হুঙ্কার ছাড়তে সক্ষম হবেন বলে বিশ্বাস তার।

‘টেস্টে বিদেশের মাটিতে আমাদের আরও ভাল খেলতে হবে। যেহেতু সামনের বছর আমরা অনেকগুলো টেস্ট খেলার সুযোগ পাচ্ছি, আমাদের এগিয়ে চলার পথ শুরু হলো। তো আমরা আশা করি টেস্ট ক্রিকেটে আমরা আরও প্রতিষ্ঠিত হবো এবং ওয়ানডের মতো টেস্ট ক্রিকেটেও আমরা আরও এগিয়ে যাব। ’

বাংলাদেশ সময়: ০০২৪ ঘণ্টা, ২৬ জুন, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।