অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪৩ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। যা বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে সর্বনিম্ন।
স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে শুরুতে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে সফরকারী বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংস। কেমার রোচ ও মিগুয়েল কামিন্স ও জেসন হোল্ডারের সুইং ও বাউন্স ভেলকিতে ৪৩ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলে ৯ উইকেট।
এর প্রথম ৫টি উইকেটই নিয়েছেন ক্যারিবীয় পেসার কেমার রোচ। বাকি ৩ টি মিগুয়েল কামিন্সের ও দুটি হোল্ডারের।
বুধবার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ড স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাক্তিগত ৪ ও দলীয় ১০ রানে কেমার কেমান রোচের গুড লেংথ বলে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে বল তুলে দেন তামিম।
প্রত্যাশিত ছন্দ দেখা যায়নি মুমিনুলের ব্যাটেও। তামিম ফেরার ২ ওভার যেতে না যেতেই ব্যাক্তিগত ১ রানে গালিতে শাহি হোপের হাতের ক্যাচ তুলে দিলে রোচের দ্বিতীয় শিকার বনে যান এই টেস্ট স্পেশালিস্ট। সাকিবদের দলীয় সংগ্রহ তখন ১৬।
এরপর দলীয় সংগ্রহ বাড়াতে তিনে মুশফিক নামলেও পারেরনি। নবম ওভারে রোচের দ্বিতীয় বলটি ব্লক করতে গেলে এলবি'র ফাদে পড়েন। ফিরে যান রানের খাতা না খুলেই।
এক বল বিরতির পর টানা দুই বলে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ০ রানে প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়ে দাঁড়ান হ্যাটট্টিকের মুখোমুখি। কিন্তু নুরুল হাসান তার হ্যাটট্টিক বলটি দেখেশুনে খেললে বঞ্চিত হন এই ক্যারিবীয় স্ট্রাইক বোলার। সফরকারীদের দলীয় রান তখন ১৮।
সোহান, লিটন জুটিতে হয়তো বড় সংগ্রহের আশা জেগেছিল লাল সবুজের শিবিরে। অবশ্য তাতে পানি ঢেলে দিয়েছেন মিগুয়েল কামিন্স। ব্যক্তিগত ২৫ রানে ফিরিয়ে দিয়েছেন সেট ব্যাটমম্যান লিটন দাসকে।
সপ্তম ও অষ্টম উইকেটের শিকারিও তিনি। ব্যক্তিগত ৪ রানে ক্রিজছাড়া করেছেন নুরুল হাসান সোহানকে। স্টিভ রোডস শিষ্যদের সংগ্রহ তখন ৩৪ রান।
এরপর মাত্র ১ রান যোগ হতে না হতেই নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন মেহেদি হাসান মিরাজকে।
সফরকারীদের নবম উইকেট শিকারি হোল্ডার ব্যক্তিগত ০ রানে উইকেটের পেছনে শিকার বানিয়েছেন কামরুল ইসলাম রাব্বিকে। পরে এই ক্যারিবীয় অধিনায়কই রুবেল হোসেনকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে লজ্জার রেকর্ড উপহার দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০২ ঘণ্টা, ০৪ জুলাই, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস