একটি সেশনও টিকতে পারেননি তামিম-সাকিব-মুশফিকরা। গুটিয়ে যেতে হয়েছে মাত্র ৪৩ রানে! গত ৪৪ বছরের টেস্ট ইতিহাসে এটাই সর্বনিম্ন এবং টেস্টের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর।
বাংলাদেশের করা ৪৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে স্মিথ- কার্লোস ব্রাথওয়েট টাইগারদের যেন হাতে-কলমে শিখিয়ে দিলেন যে কি করে ক্রিজে টিকে থাকতে হয়। প্রথম দিন শেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ২ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান। এরই মধ্যে বাংলাদেশকে ১৫৮ রানের লিড দিয়েছে স্মিথরা। ব্যাট হাতে ৮৮ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন কার্লোস ব্রাথওয়েট ও ১ রান নিয়ে বিশু।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে কেমার রোচের বিধ্বংসী বোলিংয়ে মাত্র ১৮ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এই সবকটি উইকেটই নিয়েছেন রোচ। ওপেনার তামিম ইকবালকে ব্যক্তিগত ৪ রানের শেন ডোওরিচের ক্যাচ বানান পেসার রোচ। পরে এক রানে থাকা মুমিনুল হককে শাহি হোপের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে পাঠান এই ডানহাতি পেসার।
এছাড়া হোল্ডার ২ এবং কামিনস ৩ উইকেট নিয়েছেন। বাংলাদেশের পক্ষে একমাত্র লিটন দাশ ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পা রাখতে পারেননি। এমনকি রানের খাতা খোলার আগে ৪ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরের পথে হাঁটতে হয়েছে।
বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে কিছুটা থিতু হয়ে খেলতে দেখা যায় ওপেনার লিটন দাশকে। তবে ১৪তম ওভারে মিগুয়েল কামিন্সকে তুলে মারতে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ডানহাতি। সে সময় দলীয় ৩৪ রানের ২৫ রানই তার ব্যাট থেকে আসে। পরে কামিন্সের শিকারে খুব দ্রুতই ফেরেন নুরুল হাসান ও মেহেদি হাসান।
পরে জেসন হোল্ডারের শিকার হয়ে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠ ছাড়েন কামরুল ইসলাম রাব্বি। আর একই বোলারের বলে বোল্ড হয়ে রুবেল হোসেন ফিরলে বাজে রেকর্ডে নাম লেখায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৮
এসএইচ