কী করে প্রবেশ করেন? টাইটেল স্পন্সর রবি’র লোগো সম্বলিত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বেশ কয়েকটি জার্সি তার আছে। সেই জার্সি গায়ে চাপিয়ে খুব সহজেই তিনি মূল গেইট থেকে পার পেয়ে যান।
ঢুকে কী করেন? কখনও চলে যান বিসিবির দোতলার কর্পোরেট অফিসে, কখনওবা শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে নিজেকে নেট বোলার বলে পরিচয় দেন, কখনওবা পরিচয় দেন সাকিব আল হাসানের পরিচিত বলে। যেমন এই প্রতিবেদককেই তিনি বললেন, ‘আমাকে চাম্পাকা (চাম্পাকা রামানায়েকে) আসতে বলেছিলো তাই এসেছি। অথচ চাম্পাকা এখন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ‘এ’ দলের সিরিজ চলায় ঢাকার বাইরে।
তথাকথিত এই নেট বোলার ও সাকিব আল হাসানের পরিচিত ব্যক্তি দিন পাঁচেক আগে এইচপি দলের অনুশীলনে এসে একাডেমি মাঠ থেকে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে চলে যান ক্রিকেট একাডেমির আবাসিক ভবনের তিন তলায়। ওই ফ্লোরের বারান্দায় রোদে শুকানোর উদ্দেশ্যে নেড়ে দেওয়া এক ক্রিকেটারের জার্সি ও জাতীয় দলের ব্লেজার তিনি চুরি করে নিয়ে যান। আর মাঠ থেকে চুরি করেন ব্যাগ।
মাঠে ব্যাগ না পেয়ে এবং একাডেমিতে ফিরে ব্লেজার ও জার্সি না পেয়ে ওই ক্রিকেটার বিসিবি একাডেমি কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ জানালে তারা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চোর শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
একই উদ্দেশ্যে চোর শনিবার (৭ জুলাই) আবার আসেন একাডেমি ভবনে। এসে সোজা তিন তলার দিকে হাঁটা শুরু করলে একাডেমি নিরাপত্তাকর্মী আলী তাকে দেখে চিনতে পারেন এবং থামান।
এরপর একাডেমি, গ্রাউন্ড কর্মী ও আনসার ডেকে তাকে জেরা করলে তিনি চুরির বিষয়টি স্বীকার করেন এবং চুরিকৃত জার্সি, ব্যাগ এবং ব্লেজার ফেরত দেন। বর্তমানে তিনি শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের আনসার ক্যাম্পে আছেন।
একাডেমির নিরাপত্তা কর্মী আলীসহ অন্যদের অভিযোগ, আমিরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রায় সব ক্রিকেটারদের সাথে তোলা ছবি মজুদ আছে। আছে তাদের সবার নাম্বারও। এর সুবাদেই তিনি নিরাপত্তা কর্মীদের ফাঁকি দিতে পারেন।
অথচ সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সাংবাদিকরা বিসিবিতে প্রবেশের সময় কী ঝক্কিই না পোহাতে হয়! ব্যাগ তল্লাশি, পরিচয়পত্র চেয়ে মিনিট দশেকের জন্য গেইটে অপেক্ষা আরও কত কী। কোনো সিরিজ কিংবা টুর্নামেন্ট শুরু হলে তো কথাই নেই। কত সংবাদকর্মীর সাথে তাদের বিতণ্ডা এমনকি হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে তার ইয়ত্তা নেই।
আর এদিকে দিনে দুপুরে ক্রিকেটার পরিচয়ে ক্রিকেটারদের বস্ত্র, ব্যাগ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে তার খবরও নেই!
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৮
এইচএল/এমএইচএম