আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দলের হয়ে সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার রেকর্ডটি নিজের করে নেন জাতীয় দলের হয়ে ১৫টি ওয়ানডে ও ২৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা টাইস। ২০১১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করে ২০১৫ সালেই ছেড়ে দেন।
ক্রিকেট ছেড়ে হকিতে ঝুঁকে পড়েন। শুধু ঝুঁকে পড়াই না, এক কথায় পুরোদস্তুর হকি খেলোয়াড় হয়ে উঠেন। ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো মাঠে নামেন আয়ারল্যান্ডের নারী হকি দলের হয়ে। এর দুই বছর পর ২০ বছর বয়সে নারী হকি দলের হয়ে অংশ নেন হকি বিশ্বকাপে। জিতে নেন রানারআপ পুরস্কার রৌপ্য পদকও।
গেল ১৬ বছরে প্রথমবারের মতো নারী হকি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে আয়ারল্যান্ড। দীর্ঘদিন পর বিশ্বকাপে অংশ নিয়েই করে দিয়েছে বাজিমাত। যদিও ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৬-০ গোলে হেরে গেছে টাইসের আয়ারল্যান্ড। সেই দলে একজন ডিফেন্ডারের ভূমিকা পালন করেন টাইস।
দেশের হয়ে দুটি খেলায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলা চতুর্থ নারী খেলোয়াড় টাইস। তার আগে অস্ট্রেলিয়ার এলিস পেরি (ক্রিকেট ও ফুটবল), নিউজিল্যান্ডের সুজি বেটস (ক্রিকেট ও বাস্কেটবল), ক্রিকেটের বেটসের সতীর্থ সোফি ডেভিন (ক্রিকেট ও হকি) দুটি খেলার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলেছেন।
শুধু ক্রিকেট আর হকিই নয় সমানতালে খেলেন বাস্কেটবলও। স্কুল ক্রিকেট খেলতে খেলতে বড় হওয়া এলেনা টাইস সময় পেলেই ফুটবল, রাগবি ও ঘোড়দৌড়ও চালান। তবে বলা যায়, হকি জাতীয় দলের হয়ে এটি টাইসের দ্বিতীয় অভিষেক। ক্রিকেটে অভিষেকের আগেই অনূর্ধ্ব-১৬ ও অনূর্ধ্ব-১৮ হকি দলের হয়েও মাঠ মাতিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৮
এমকেএম/এমএমএস