‘এটা তো সবাই আমরা জানি এখন যে সার্জারি করতে হবে। ওটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে কোথায় করলে ভাল হয়, কবে করলে ভাল হয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষে বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) সকালে দেশে ফিরে হযরত শাহজহালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে তিনি তেমনই ইঙ্গিত দিলেন।
তবে সাকিব চাইলেই ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এশিয়া কাপের আগেই অস্ত্রোপচার করাতে পারবেন কী না সেটা নিয়ে যথেষ্টই সন্দেহ আছে। কেননা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মেডিক্যাল বিভাগে দেয়া তথ্যমতে, তিনি এই মুহূর্তে তার কনিষ্ঠায় অস্ত্রোপচার করালে নুন্যতম ২ মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে। ফলে অবশ্যম্ভাবী ভাবেই এশিয়া কাপ তিনি খেলতে পারছেন না।
সেটা বোধ হয় তিনি জানেন না। তাই বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বললেন তিনি পুরো ফিট না হয়ে এশিয়া কাপে খেলতে চান না, ‘আমি তো তাই মনে করি হওয়া উচিৎ কারণ চাই না যে ফুল ফিট না থেকে খেলতে। কাজেই সেভাবে যদি চিন্তা করি এশিয়া কাপের আগে হবে এটাই নরমাল। ’আবার তার মতো ‘কি’ প্লেয়ারকে বাদ দিয়ে টাইগারদের এশিয়া কাপে পাঠাতে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট মনে হয় না সম্মত হবেন। আবার হতেও পারেন। তবে কি হবে না হবে সেই বিতর্কে এখনই না গিয়ে বিষয়টি বোর্ড, সাকিব ও বিসিবি মেডিক্যাল বিভাগের আসন্ন সভার দিকে তাকিয়ে থাকাই ভালো।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ফিল্ডিংয়ের সময় বাঁহাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুলে ব্যথা পান সাকিব। পরে ফেব্রুয়ারিতে নিজেদের মাঠে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে টেস্ট সিরিজের পর মার্চে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত নিদাহাস ট্রফির প্রথম তিন ম্যাচেও খেলতে পারেননি সাকিব। লুকিয়ে থাকা ব্যথা নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে টেস্ট ও ওয়ানডে খেললেও তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে নেমেছিলেন ব্যথা প্রশমনকারী ইনজেকশন নিয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৯ ঘণ্টা, ০৯ আগস্ট, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস