কিন্তু প্রথম দুটি ম্যাচে লিটনের ব্যাট কথা বললো না। সংগ্রহ ছিলো সাকুল্যে ২৪ ও ১ রান।
শেষটিতে যা করলেন তাকে ঝলক বলাই বোধ করি উত্তম। ৩২ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় খেললেন ৬১ রানের বিস্ফোরক এই ইনিংস। যা দিন শেষে সফরকারীদের এনে দিলো ৬ বছর পর বিদেশের মাটিতে লাল সবুজের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের গৌরব।
এই ফরম্যাটে এটিই তার সর্বোচ্চ। এর আগে ছিলো ৪৩। যা তিনি পেয়েছিলেন গত মার্চে নিদাহাস ট্রফিতে। অনুমিতভাবেই বিষয়টি লিটন দাসকে আলোড়িত করেছে। তবে তার মনের এই আলোড়নের মাত্রা আরও বহুগুণ হতো যদি প্রথম দুই ম্যাচেও দলের জন্য অবদান রাখতেন। কেননা তার সমৃদ্ধ ব্যক্তিগত সংগ্রহই দলের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহে ভূমিকা রেখেছে, তাই আক্ষেপ করলেন।
‘চেষ্টা করেছি যতক্ষণ উইকেটে থাকা যায় ততক্ষণ রান করার জন্য। নিদাহাসে একটা ভালো ইনিংস ছিল, আমি হয়তো অর্ধশতক পাইনি। তো এবারের সুযোগে একটু বড় ইনিংস খেলার চেষ্টা করেছি। তবে আরেকটু ভালো খেললে দলের জন্য ভালো হতো। ’
বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) সকালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
লিটনের আক্ষেপের শেষ এখানেই নয়। আছে রঙিন পোশাকে নিয়মিত দলে সুযোগ না পাওয়ার আক্ষেপও। ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান আজ অব্দি ওয়ানডে খেলেছেন ১২ টি। আর টি-টোয়েন্টি ১৫টি।
দুঃখজনক হলেও সত্য এই দুই ফরম্যাটের একটিতেও ঘরোয়া ক্রিকেটের দুর্দান্ত এই পারফর্মার নিজের জাত চেনাতে পারেননি। এক দিনের ক্রিকেটে তার সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৩৬ রান। আর টি-টোয়েন্টিতে ছিলো ৪৩ যা উইন্ডিজ সফরে টপকে গেলেন (৬১)।
যেহেতু সফরে তিনি ওয়ানডে খেলেননি তাই সাংবাদিকরা এদিন এই ফরম্যাটের আলোচনায় গেলেন না। জানতে চাইলেন টি-টোয়েন্টিতে কেন তার ব্যাট থেকে এত কম রান এসেছে। উত্তরে ফরম্যাটকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন ২৩ বছর বয়সী এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
‘সীমিত ওভারের ক্রিকেটে আমি খুব বেশি ম্যাচ খেলিনি। এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছি, এর আগে নিদাহাসে খেলেছি। এই ফরম্যাটে আপনি চাইলেও সবসময় বড় রান করতে পারবেন না। এখানে রানের একটা চাপ থাকে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, ০৯ আগস্ট, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস