প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের ১৮ ও ১৯ তারিখ পরপর দুইদিন খেলা রয়েছে ভারতের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলছে ভারত।
আর ১৯ তারিখে পাকিস্তানের বিপক্ষে। কোনো প্রকার বিরতি ছাড়া টানা দুই দিন ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলা ভারতকে বড় চিন্তায় ফেলেছে। তাদের এ চিন্তার কথা এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে (এসিসি)। তারাও সমস্যার দ্রুত সমাধানের ইঙ্গিত দিয়েছে।
এদিকে মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বাধীন টাইগার ওয়ানডে দল এশিয়া কাপের প্রথম দিনই মাঠে নামবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। টাইগারদের সামনেও রয়েছে ভারতের মতো সমস্যা। তবে সেক্ষেত্রে রয়েছে কিছুটা হিসেব-নিকেশ।
এশিয়া কাপের ‘বি’ গ্রুপে রয়েছে বাংলাদেশ। গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে ২০ সেপ্টেম্বর আবুধাবিতে মুখোমুখি হবে আফগানিস্তানের। মাশরাফিরা যদি গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে শেষ চারে ওঠে সেক্ষেত্রে ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়নের বিপক্ষে মাঠে নামতে হবে পরের দিনই। ‘সুপার ফোর’এর এই ম্যাচটি হবে আরেক শহর দুবাইয়ে। পর পর দুটি ৫০ ওভারের ম্যাচ তাও দুই শহরে খেলা বেশ কঠিন।
এমন সমস্যায় যদি পড়ে যায় বাংলাদেশ সেক্ষেত্রে সমাধান কী হতে পারে, জানতে চাওয়া হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খানের সঙ্গে। জবাবে তিনি বাংলানিউজ২৪-কে বলেন, ‘ভারত যেহেতু জানিয়েছে এখন দেখা যাক। আসলে আমাদের ব্যাপারটা এখনই ফিক্সড করে বলা যাচ্ছে না। আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারি, রানার্সআপ হতে পারি আবার কিছু নাও হতে পারি। তবুও আমরা বলে রাখবো তেমন কোনো সমস্যা হলে আমরা বলে রাখবো যেনো আমাদের কোনো সমস্যা না হয়। ভারতেরটা পরিবর্তন করলে আমাদেরটাও করবে। ভারতের সমস্যাটা আসলে খালি চোখে দেখা যাচ্ছে আমাদেরটা পরিষ্কার না কিন্তু তবুও আমরা অনতিবিলম্বে কথা বলবো। ’
এখনও এশিয়া কাপের শিরোপা তুলে ধরতে না পারলেও এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স মনে রাখার মতোই। গেল দুই আসরেই ফাইনাল খেলেছে টাইগাররা। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে নিজেদের প্রমাণ করতে না পারলেও এশিয়া কাপে ঠিকই চোখে পড়ার মতোই পারফরম্যান্স দেখিয়েছে বাংলাদেশ।
এ বছর ওয়ানডে ফরম্যাটে এশিয়া কাপ হতে যাওয়ায় সম্ভাবনাটা আরও বেশিই দেখছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমর্থক ও বিশেষজ্ঞরা। কারণ ক্রিকেটের এই ফরম্যাটেই বাংলাদেশের সফলতা বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৮
এমকেএম/এমএমএস