অনূর্ধ্ব-১৪, ১৬ ও ১৮ দল নির্বাচনে এর আগে জেলা পর্যায়ে বয়স ভেরিফিকেশন হত। সেই লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত ক্রিকেট একাডেমীগুলোতে ফর্ম পাঠিয়ে দিত বিসিবি।
সোমবার (২০ আগস্ট) সংবাদ মাধ্যমকে এমন তথ্য দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের ন্যাশনাল গেম ডেভলপমেন্ট ম্যানেজার মোহাম্মদ কাওসার।
তিনি বলেন, 'জেলা ক্রিকেটে বয়স ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে অসমতা কমিয়ে আনার জন্য বাছাই প্রক্রিয়াকে আরও উম্মুক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এখনকার ট্রায়াল অনেকটাই উম্মুক্ত, ওপেন ট্রায়ালের পর বয়স ভেরিফিকেশন করা হবে। আমরা বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলে ক্রিকেটারদের অংশগ্রহন অনেকটাই উম্মুক্ত করে দেয়ার চেষ্টা করেছি। শতভাগ হবে না, কিন্তু চেষ্টা করছি।
'আমাদের বিভাগের কোচরা ট্রায়াল থেকে শতশত ক্রিকেটার থেকে বয়স ভিত্তিক দল গঠন করছে। এরপর বয়স ভেরিফিকেশন হবে। এরপর আমরা জেলা দলগুলো করে দিব। এখানে স্বচ্ছতা ইস্যুতে একটু খেয়াল রাখতে হবে আমাদের। জেলা সদরের ছেলেরা সুযোগ পাবে, কিন্তু ছোট শহরের মেধাবী কেউ সুুযোগ পাচ্ছে না... প্রতিভা যদি গ্রামেও থাকে তাদের তুলে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। ওদের ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং দেখেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। '
বয়সভিত্তিক দল গঠনে আপনারা মূলত কোন কোন বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কাওসার বলেন, 'চোখে দেখেই একটা সিদ্ধান্ত হয়ে যায় সহজেই, আর ওদের জন্মনিবন্ধন দেখে একটা ক্যাটাগরি নির্ধারণ করা হয়। এরপর শারীরিক বৃদ্ধি দেখা হয় ওদের। এইসব দেখেই একটা সিদ্ধান্তে আসা হয়। আর যদি কোনো সন্দেহ থাকে, তাহলে বোন টেস্ট করি আমরা, অ্যাপোলোতে আমরা এই টেস্টটা করি। এখানে আপিল করার সুযোগও রয়েছে। '
'মূলত চোখের দৃষ্টিতে দেখার পাশাপাশি জন্মসনদ পরীক্ষা করা হয়। তারপর প্রতিবছরের জন্য একটি নির্দিষ্ট বয়স সীমা থাকে, তিনটা বয়স ভিত্তিক দলের জন্যই এমন কাট-অফ ডেট আছে। এটাই প্রথম ক্যাটাগরি। এরপর ডেন্টাল টেস্ট হয়, দাঁতের বয়সের পরীক্ষা হয়। সেই টেস্টে সন্দেহ থাকলে ফিজিক্যাল টেস্ট করা হয়। '
'ক্রিকেটারদের চুলের গ্রোথ কেমন সেটা দিয়ে বয়স ধরে একটা সিদ্ধান্তে আসা হয়। যদি তারপরও কোন সমস্যা থাকে বা কেউ যদি আমাদের আগের প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে থাকে তাহলে আমরা বোন টেস্ট করি। হাতের হাড়ের এক্সরে থেকে জানা যায় তার সত্যিকারের বয়স কত। এরপরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা হয়। '
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৮
এইচএল/এমএইচএম